ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

পুলিশের তথ্যবিহীন অভিযান

স্লুকার খেলোয়াড়দের সম্মানহানির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৪০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

স্লুকার খেলোয়াড়দের সম্মানহানির অভিযোগ

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর চট্টগ্রাম নগরীর আনাচে-কানাচে থাকা ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ক্লাবগুলোতেও হানা দিতে শুরু করেছে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে (সিএমপি) তুলে ধরতে এ ধরনের অপচেষ্টা করছে ১৬ থানার কর্মকর্তরা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অভিযোগ উঠেছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাইলাইট হতেই পুলিশ অবৈধ হস্তক্ষেপ করছে। কারণ চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ির হ্যাং আউট নামক ক্লাবে জুয়ার কোন সরঞ্জাম পায়নি পুলিশ এমন তথ্য খোদ কোতোয়ালি থানার এক এসআইয়ের। অপরাধে আটককৃতরা সংশ্লিষ্ট না থাকায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনী পদক্ষেপ নিতে পারেনি। আবার মুচলেকা কেন নেয়া হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তরও নেই পুলিশের কাছে। ভুল ও মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হয়রানি করেছে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন পুল ও স্লুকার খেলতে আসাদের। শুধু তাই নয় হ্যাং আউট থেকে পুলিশের কাছে আটক হয়ে থানায় ও থানা হাজতে থাকার পর মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে খেলোয়াড়রা। সেইসঙ্গে থানায় আটক হওয়ার বিষয়টি খেলায়াড়দের এলাকায় ও আত্মীয় স্বজনের কাছে জানাজানির পর সামাজিকভাবে মানহানির ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চাকরিক্ষেত্রেও বিষয়গুলো নিয়ে কানাঘুষা চলছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ কেন আটক করেছে, আটককৃতদের মুচলেকা নিয়েছে। মূলত অপরাধ করেছে পুলিশ তাদের বিচার করবে কে এমন প্রশ্ন সামাজিক মানহানির শিকার হওয়া খেলোয়াড়দের। কোতোয়ালি থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, জুয়া ও মাদকের গোপন আস্তানার সন্ধান রয়েছে নগরীর কাজির দেউড়ির আলমাস ভবনে। কিন্তু কোতোয়ালি পুলিশ অভিযান চালিয়ে হ্যাং আউট পুল এ্যান্ড স্লুকার ক্লাবের মালিকের ছেলে ও কর্মচারীসহ আরও ২৫ খেলোয়াড়কে আটক করে থানায় নিয়ে যায় জুয়া খেলার শূন্য সরঞ্জান নিয়ে। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে এমন আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় করা হয়েছে খেলোয়াড়দের এমন দাবি মালিকপক্ষের। হ্যাং আউটের মালিক গোলাম রসুল বাবুর ছেলে খালেদুজ্জামান ও কর্মচারী রবিউল হোসেন বলেছেন, খেলোয়াড় আর খেলার সরঞ্জাম ছাড়া আর কিছুই পায়নি। কিন্তু এরপরও সবার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছে এ ধরনের ক্লাবে না যেতে। সেইসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকেও বিশেষ অভিযানের নামে নগরব্যাপী হেলমেট অভিযান চলছে। এদিকে, আবেদিত রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, ইন্সুরেন্স, নাম্বার প্লেটের ফি পরিশোধের ব্যাংক স্লিপ এমনকি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার পরও বিআরটিএ’র প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অনটেস্ট বা আবেদিত লাগানো গাড়িকেও ছাড় দিচ্ছে না পুলিশ। বাইক মালিকদের অভিযোগ অজ্ঞ ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট সরকারী ব্যর্থতার দায়কে উড়িয়ে দিয়ে মামলার কপি ধরিয়ে দিচ্ছে। কমপক্ষে ১০ দিনের জন্য জব্দ করে রাখা হচ্ছে জরিমানা আদায়ের উদ্দেশে। প্রশ্ন উঠেছে, মামলা ঠুকে দিলেও বিভিন্ন স্পটে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার বিষয়ে চালককে কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে অপরাপর ট্রাফিক পুলিশের কাছে।
×