স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা গাজীপুরের সালনাস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক এবং বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু আমাদের আত্মপরিচয়, তার দর্শনচর্চায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠের গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমরা যথাযথ মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে গণমানুষের নেতা এবং বিশ্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল বিশ্ব ইতিহাসে অনুকরণীয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছেন।
সভার মুখ্য আলোচক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর এবং ইউজিসি প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, হাজার বছরের পরাধীন বাঙালী জাতির মুক্তির দীর্ঘ সংগ্রামে সীমাহীন আত্মত্যাগের মাধ্যমে ধাপে ধাপে অবিসংবাদিত একক নেতার আসনে অধিষ্ঠিত হন বঙ্গবন্ধু। তিনি দেশ ও জাতিকে নিয়ে নিজে স্বপ্ন দেখতেন এবং বাঙালী জাতিকে স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন। গণমানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি সকলকে ছাপিয়ে বঙ্গবন্ধুতে রূপান্তরিত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু গণমানুষের আবেগ-অনুভূতি ও স্বপ্নকে ধারণ করতেন অনুরূপ বাস্তবায়নে দৃঢ় ও সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন। তিনি কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে যুগান্তকারী কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলেন বিধায় দেশ আজ কৃষিতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ ও পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ খোরশেদ আলম ভূঞা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।