তাহমিন হক ববী, জলঢাকা থেকে ॥ জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে রবিবার গণতন্ত্রের মহোৎসবে শামিল উপজেলার ভোটাররা। অনেকেই বার্ধক্যকে তুড়ি মেরে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বয়স ১০০ বছরেরও বেশি। তাদের কোমর কুঁজো হলেও হাঁটাপথে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ভোট দিয়েছেন । উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের পূর্বখুটামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে দেখা হয় এলাকার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ১০৭ বছরে বৃদ্ধা নৈইছ বালার সঙ্গে। এই বৃদ্ধা যখন ভোট দিতে আসেন, তখন সবার নজর তার দিকেই চলে যায়। নাতি সুকুমারের হাত ধরে ভোট কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যেতে এক পুলিশ সদস্য বৃদ্ধার হাত ধরে সহযোগিতা করার জন্য ছুটে আসেন। বৃদ্ধা ভোট দিয়ে বেরিয়ে এলে তার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিনিধির। তিনি জানালেন, তার ভোট উঠার পর থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো ভোট হয়েছে কোন ভোটই বাদ দেননি। বয়সের ভারে কুঁজো হলেও ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বৃদ্ধার স্পষ্ট কথা আমার ভোট আমি দিয়ে গণতন্ত্র পেয়েছি। নিজের ভোট দিতে না পারলে গণতন্ত্র থাকেনা। যারা ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেয়না-তাদের মধ্যেই গণতন্ত্র নাই। কথায় কথায় বৃদ্ধা জানালো ৩০ বছর হয় স্বামী সরিন্দ্র নাথ বর্মণ মারা গেছেন। ৪ ছেলে ৩ মেয়ে, ১২ জন নাতি নাতনি ও ৯ জন পুতি রয়েছে তার। বৃদ্ধার ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে গোটা গ্রামে উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেছে। পরিবারের লোকজন বৃদ্ধার সঙ্গে গ্রামের প্রতিবেশী সকলে বুথে ছুটে আসে। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের বুথে তরুণদের ভিড় বেশ নজর কেড়েছে। ভোট শুরুর আগে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন ভোটাররা। জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের স্থগিত থাকা নির্বাচন রবিবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার ৮৯ কেন্দ্রে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুজন।
তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী (নৌকা), উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ (চিংড়ি মাছ)।