
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানার অধীন আকবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি গ্রামে মা ও দুই সন্তানসহ তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আট আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে রবোবার (১৩ জুলাই) দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক আসামিদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই নয়ন কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন কড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া, রবিউল আউয়াল, আতিকুর রহমান, মো. বায়েজ মাস্টার, দুলাল, আকাশ, মো. সবির আহমেদ ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নয়ন কুমার চক্রবর্তী জানান, কড়ইবাড়ি গ্রামে দুই সন্তানসহ নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আট আসামির গত ৭ জুলাই বিকালে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। ৯ জুলাই ওই আবেদনের শুনানি শেষে কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক প্রত্যেক আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরের দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। রবোবার সকালে তিন দিনের রিমান্ড শেষ হলে দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদেরকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেলা ডিবির ওসি মো. আব্দুল্লাহ জানান, ‘তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য বলা যাচ্ছে না।’
এর আগে গত ৩ জুলাই সকালে কড়ইবাড়ি গ্রামে মব সৃষ্টি করে মা, ছেলে ও মেয়েসহ একই পরিবারের তিনজনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার দুই দিন পর স্থানীয় আকবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে, অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন নিহত রুবির বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার।
মীর শাহ আলম/রাকিব