
ছবি: সংগৃহীত
যশোরে এসএসসি পরীক্ষায় কেন্দ্র সচিবের ভুলে পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ পরীক্ষার্থীর সবাই অনুত্তীর্ণ হয়েছিল। রসায়ন পরীক্ষার ব্যবহারিকের নাম্বার বোর্ডে প্রেরণ না করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তিনদিন পর রোববার ফলাফল সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ওই ৪৮ পরীক্ষার্থীর সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, কেন্দ্র সচিবের ভুল বা অবহেলার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে বোর্ড পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বোর্ড সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোর পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছয়টি বিদ্যালয়ের ৩২৯ শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিল ৪৮ জন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে এদের সবাই অকৃতকার্য হয়।
ফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দেখেন, রসায়ন বিষয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এরপর সব স্কুল থেকে কেন্দ্রসচিবের কাছে জানতে চাইলে কেন্দ্রসচিব মো. খানজাহান আলী ফল সংশোধনের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে চিঠি দেন। এরপর রোববার ওই ৪৮ শিক্ষার্থীর ফলাফল সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়।
কেন্দ্রসচিব খানজাহান আলী সাংবাদিকদের জানান, কী কারণে বিজ্ঞান বিভাগের সবার রসায়ন বিষয়ের ফলাফল অকৃতকার্য আসে, তাঁরা বুঝতে পারেননি। ফল সংশোধনের আবেদন করার পর রোববার শিক্ষা বোর্ড গিয়ে ৪৮ জনের ফলাফল সংশোধন করা হয়।
ফলাফল সংশোধন হওয়া শিক্ষার্থীদের একজন ভাতুড়িয়া হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী মিয়ারাজ ইসলাম। বৃহস্পতিবার ঘোষিত এসএসসির ফলাফলে সে ১০টি বিষয়ের মধ্যে আটটিতে জিপিএ-৫ পেলেও রসায়ন বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। কেন্দ্র থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর না পাঠানোয় তার এমন ফলাফল আসে। তিন দিন পর রোববার সংশোধিত ফলে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবদুল মতিন বলেন, কেন্দ্র থেকে রসায়ন বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর পাঠানো হয়নি। এ জন্য ৪৮ শিক্ষার্থীর ফলাফল অসম্পূর্ণ ছিল। যে কারণে রসায়ন বিষয়ে সবার অকৃতকার্য ফল আসে। কেন্দ্রের ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। ব্যবহারিকের নাম্বার পাওয়ার পর তাদের ফলাফল সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই ভুল বা অবহেলার জন্য কেন্দ্রসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফারুক