বিডিনিউজ ॥ রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় শিশু গৃহকর্মী সাথী হত্যা মামলায় গ্রেফতার শরীফুল ইসলাম ওরফে হিজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। সাথীর লাশ ট্রলিব্যাগে ভরে নেয়ার সময় গত বৃহস্পতিবার পুলিশ চেকপোস্টে গ্রেফতার হয়েছিলেন শরীফুল। দুই দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার পুলিশ পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মহানগর হাকিম গোলাম নবীর খাসকামরায় শরীফুল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ জবানবন্দীতে শরীফুলের দেয়া বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, শরীফুলের ভাগ্নি কাজলরেখার (২৭) বাসায় কাজ করত সাথী। তাকে বেশ কয়েকবার নির্যাতন করেছিলেন কাজলরেখা ও তার মা খোদেজা বেগম (৬৫)। নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘শরীফুল বলেছেন, মারধরে সাথী মারা যাওয়ার পর তার ভাগ্নী (বোনের মেয়ে) কাজলরেখা তাকে বলে যে, সে একটি বিপদে পড়েছে। তাকে এ বিপদ থেকে উদ্ধার করতে হবে। তখন ঘটনা খুলে বললে শরীফুল তাকে পরামর্শ দেন একটি ট্রলি ব্যাগ যোগাড় করতে। ব্যাগে করে সাথীর লাশ গুমের পরামর্শ দেন তিনি। গত ২৩ মে রাতে গৃহকর্মী সাথী খুন হওয়ার পর তার লাশ সেদিন বাসায় রেখে দেন আসামিরা। পরদিন শরীফুল নতুন লাগেজ কিনে কাজলরেখার বাসায় এসে সাথীর লাশ ভরে ফেলেন।’ সকালে শরীফুল যখন লাশ ভর্তি লাগেজ নিয়ে আবদুল্লাহপুর যাচ্ছিলেন তখন কোটবাড়ী রেলগেট চেকপোস্টে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাথীর লাশ উদ্ধারের পর তার বাবা রহমত আলী বাদী হয়ে গৃহকর্ত্রী কাজল রেখা, তার মা খোদেজা বেগম ও মামা শরীফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ট্রলিব্যাগে লাশ
গৃহকর্ত্রীর নির্যাতনে মৃত্যু হয় সাথীর
প্রকাশিত: ০৮:০০, ৩০ মে ২০১৮
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: