ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ত্রাণ নয় স্থায়ী বাঁধ চায় উপকূলের মানুষ

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ২০ জুন ২০১৭

ত্রাণ নয় স্থায়ী বাঁধ চায় উপকূলের মানুষ

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ উপকূলীয় এলাকার প্রায় সাত লাখ মানুষের জীবন, সহায়-সম্পত্তি রক্ষায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ খুবই জরুরী। এখন আর ত্রাণ বা অনুদান চাইছে না উপকূলের মানুষ। তারা চায় জীবনের নিরাপত্তা। কংক্রিট-সী-ডাইক পদ্ধতিতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ দেয়ার দাবি তাদের। তাছাড়া পানি উন্নয়নবোর্ডের সংস্কার করে আলাদা উপকূলীয় উন্নয়নবোর্ড চায় আতঙ্কিত উপকূলের বাসিন্দারা। স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে ঝড়-তুফান ও ঘূর্ণিঝড়ের প্লাবন এখনও উপকূলের লোকালয়ে হানা দেয়। উপকূলের মানুষ এখনও স্বস্তি নিয়ে বসবাস করতে পারছে না। ঝড়-জোয়ারের প্লাবন প্রতিরোধী বেডিবাঁধের অভাবে তারা বড় অসহায়। বেড়িবাঁধের জন্য সরকারের বরাদ্দের কাজও যথাযথভাবে হচ্ছে না। স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় দ্বীপ ছেড়ে আসা মানুষ নিজেদের বাস্তুভিটায় ফিরে যেতে সাহস পায় না। বরং এখনও উপকূল থেকে স্থানান্তর হওয়া থেমে নেই। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র ধকল কেটে না উঠতেই তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় এবং পূর্ণিমার ভরা জোয়ারে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় নতুন করে আট কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। এতে বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়েছে জোয়ারের পানি। লোনা পানিতে ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। টেকনাফ ও কুতুবদিয়ায় অন্তত ২৫টি গ্রাম নতুন করে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। নতুন করে শাহপরীর দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ১.৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সাগরের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। মোরার আঘাতে সাগরে অনেক মাঝি-মাল্লা মৃত্যুবরণ করেছেন এবং নিখোঁজ রয়েছে। এসব বিষয়ে সামনে এনে উপকূল রক্ষার দাবিতে জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ক নাগরিক সমাজের সংগঠনসমূহের সমন্বয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সোমবার কক্সবাজার পৌর ভবনের সামনের সড়কে মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করে। কোস্ট ট্রাস্টের সিএফটিএম প্রকল্পের টিম লিডারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক জিএএম আশেক উল্লাহ, সাবেক চেয়ারম্যান কবি রুহুল কাদের বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিন রহমান পেয়ারু, হিউম্যান ডিফেন্ডার ফোরামের সদস্যসচিব মিজানুর রহমান বাহাদুর, প্রভাষক রুমানা আক্তার প্রমুখ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১ স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ সরাইল উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সেলিম মিয়া (৩২) নিহত হয়েছে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে বেড়তলা গ্রামে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত সেলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার তাজুল ইসলামের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি পাইপগান, আট রাউন্ড খালি কার্তুজ, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ, গ্রিল কার্টার ও চারটি বর্শা উদ্ধার করেছে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা জানান, সোমবার গভীর রাতে বেড়তলা গ্রামে ডাকাতির প্রস্ততিকালে গ্রামবাসী সেলিমকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। পরে একদল পুলিশ বেড়তলা গ্রামে গিয়ে সেলিমকে আটক করে থানায় নেয়ার পথে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টাগুলি ছোড়ে। এ সময় সহযোগীদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে সেলিম নিহত হয় এবং পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়। নিহত ডাকাত সেলিমের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটটি মামলা রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
×