স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাট খুলনা জাতীয় সড়কের টাউন নওয়াপাড়া মোড় হতে কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অত্যন্ত ব্যস্ততম এ সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটি দীর্ঘ দিনে মেরামত না করার ফলে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। অকাল মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব হচ্ছে অনেকে। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
জানা গেছে, গত বেশ কয়েক বছর ধরে এ সড়কের টাউন নওয়াপাড়া মোড় হতে কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ভেঙ্গেচুরে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে। এ সময় বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ একাধিকবার নামমাত্র সংস্কার করে। এতে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। কিন্তু জোড়াতালির এ কাজ কয়েকদিন না যেতে না যেতে আরও খারাপ হয়ে পড়ে। কোন কোন স্থানে ভেঙ্গেচুরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের মধ্যে পড়ে প্রায়শই যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। আবার কোন কোন সময় একটি পরিবহন অন্যটিকে ওভারটেক করার সময় ভাঙ্গার কারণে তার চাকা খুলে বা পাংচার হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটছে। সে সময় সড়কে যানবাহনের চাপে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন কোন না কোন যানবাহনে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের টনক নড়ছে না।
কর্মচারীকে হত্যার দায়ে সহোদরের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে দোকান কর্মচারীকে হত্যার দায়ে দুই সহোদর ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেছে আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিশেষ জজ সৈয়দা হোসনে আরা এই দ- প্রদান করেন। একই রায়ে দু’জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, দ-িত দু’জন হলেন, রেজাউল করিম লিটন ও মফিজুল ইসলাম ফারুক। তারা সহোদর ভাই। নিজ দোকানের কর্মচারী হাফেজ দিদারুল আলমকে হত্যার ঘটনায় আদালত তাদের এ দ-াদেশ প্রদান করেন। নিহত দিদার সাতকানিয়ার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমানের পুত্র। দ-িত দুই আসামির মধ্যে লিটন পলাতক রয়েছেন। তবে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই মালিকের অপর ভাই আজাদুল আলম আজাদ এবং দোকানের আরেক কর্মচারী আবুল কালাম বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতকানিয়ার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমানের ছেলে হাফেজ দিদারুল আলম ছিলেন উপেজলার কেরাণীহাটে ভাই ভাই ক্লথ স্টোরের কর্মচারী। দোকানটির মালিক রেজাউল করিম লিটন, আজাদুল আলম আজাদ এবং মফিজুল ইসলাম ফারুক। ২০০৫ সালের ১ নবেম্বর রমজান মাসে আকস্মিকভাবে দোকানের ভেতর কর্মচারী হাফেজ দিদারের মৃত্যু হয়।
মানিকগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে ১৪ বছরের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-ের রায় দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাছিনা রৌশন জাহান এ রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলো- সিকান্দার, বাবুল শিকদার ও মোসলেম মোল্লা। তাদের সবার বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার খাবাশপুর গ্রামে। জানা গেছে, গত ২০০৫ সালের ১৯ নবেম্বর সিকান্দার অপর দুজনের সহায়তায় খাবাশপুর গ্রামের রুপালী আক্তার নামের এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে। পরবর্তিতে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখে সিকান্দার ধর্ষণ করে রুপালীকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: