ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নবনিযুক্ত দক্ষিণ কোরীয় রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত

অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করা আমাদের লক্ষ্য ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করা আমাদের লক্ষ্য ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করার মাধ্যমে দেশের অধিকতর উন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সবার উন্নয়ন নিশ্চিত এবং দেশের অর্থনীতি গতিশীল করা। বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত অহন সেং-দু তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। খবর বাসসর। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন সম্পর্কে বলেন, এ দেশের রফতানির মূল লক্ষ্য হবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইন্টারনেটসহ আইসিটি সুবিধা গ্রামপর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃতি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়নের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোরিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। শেখ হাসিনা তার কোরিয়া সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি দেশটির উন্নয়ন দেখে অভিভূত হয়েছেন। তিনি কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে অবস্থানকালে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চৌকস নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন মডেল হতে পারে। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে কোরিয়া সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এবং উন্নয়নের জন্য আরও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। অহন সেং-দু আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করবে। কোরিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশীদের সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে এবং কঠোর পরিশ্রমী। কোরিয়ায় প্রায় ১৪ হাজার বাংলাদেশী কর্মরত রয়েছেন। আইসিটিকে অতিগুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে উল্লেখ করে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ এ খাতে মহেশখালী ও কক্সবাজারকে ডিজিটাল দ্বীপে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কুয়েতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত ॥ কুয়েত বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় তার সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মেদ এ এইচ হায়াত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে বলেন, আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রয়াসে সহায়তা দিতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছি। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এ কথা বলেন। কুয়েতের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চৌকস নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে তিনি (রাষ্ট্রদূত) অভিভূত। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে তার ‘সেকেন্ড হোম’ হিসেবে অভিহিত করে উপসাগরীয় যুদ্ধের সঙ্কটকালে কুয়েতকে সমর্থন দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ সমর্থনের জন্য তার দেশ এ দেশের কাছে ঋণী। কুয়েতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশীর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা খুবই কঠোর পরিশ্রমী। প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কুয়েতে আরও দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে চায়। বাংলাদেশীদের হৃদয়ে কুয়েতের বিশেষ স্থান রয়েছেÑ এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় কুয়েতের অনেক অবদান রয়েছে। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে কুয়েতের আমির ও প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। চীনা ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর মোড়ক উন্মোচন ॥ বাংলানিউজ জানায় চীনা ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ বই শুধু বাংলাদেশের নয়, উপমহাদেশের ইতিহাসের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আঞ্চলিক দারিদ্র্য বিমোচনে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এ অঞ্চলের (দক্ষিণ এশিয়া) মানুষের সমস্যা এক। এসব সমস্যার সমাধান সবাই মিলে করতে হবে। এ অঞ্চলের মানুষ দরিদ্র অবস্থা থেকে উঠে আসবেÑ এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানে বইটির অনুবাদক বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত চাই সি উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এ বইটি বিক্রি করে যা আয় হবে তার সবটুকু বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে অনুদান হিসেবে দেয়া হবে।
×