
রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো ডিলারশিপ দেওয়া হবে না। সারের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যদেরকে বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করছেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ কৃষি মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষি খাতে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে সার ক্রয়ের সকল প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, বন্যায় দেশের পাঁচটি জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সারের মূল্য পরিশোধ করতে সরকার হিমশিম খেয়েছে। তবে সে সংকট সরকার কাটিয়ে উঠেছে। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে সার আমদানির চেষ্টা করছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সাথে সার ক্রয়ের বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। আপাতত সারের কোনো ঘাটতি নেই বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, গত মৌসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টন ধান অধিক উৎপাদন হয়েছে। দেশে খাদ্য সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।
শাকসবজি সংরক্ষণে ১০০ মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, পিঁয়াজ সংরক্ষণে কৃষকদের আধুনিক সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বছর দেশে শাকসবজি, পিঁয়াজ ও আলু উৎপাদন ভালো হয়েছে। আলুর উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছে না। তাই সরকার ওএমএস কার্যক্রমে আলু অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শাকসবজির বীজ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে গত অর্থবছরে প্রায় ৩৩ লাখ বিভিন্ন জাতের গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান কৃষি উপদেষ্টা।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান উপস্থিত ছিলেন।
শেখ ফরিদ