ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে দুই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু 

প্রকাশিত: ১৩:০০, ১ জুন ২০২৩

রাজধানীতে দুই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু 

অস্বাভাবিক মৃত্যু 

রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী এলাকায় একটি বাসায় মেহনাজ ফরিদ ঐশি (২৯) নামে এক গৃহবধূ ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শারমিন আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। 

বুধবার (৩১ মে) দিবাগত মধ্যরাতে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে ঐশি। স্বামী গোলাম রব্বানি ও একমাত্র ছেলেসহ থাকতেন বনশ্রীর ডি ব্লকের একটি বাসায়।

তার মামা এনামুল হক জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ছেলেকে নিয়ে তার স্বামী বাসার বাইরে যান বাজার করতে। সন্ধ্যার দিকে ফিরে রুমের দরজা বন্ধ দেখতে পান। তখন ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে রুমে ঢুকে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচানো ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পান বলে তাদের কাছে দাবি করেছেন তার স্বামী গোলাম রাব্বানী। 

রাত ৯টার দিকে খবর দিলে ঐশির তার বাবা-মা রামপুরা হাজীপাড়ার বাসা থেকে বনশ্রীর ওই বাসায় গিয়ে ঐশিকে ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে নামিয়ে প্রথমে ফরাজি হাসপাতাল, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এনামুল হক জানান, গোলাম রব্বানীর দাবি করেছে ঐশী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঘটনাটি নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। কারণ, গোলাম রব্বানী অন্য একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে। সেই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। এটি হত্যা না-কি আত্মহত্যা পুলিশের তদন্তের পরেই তারা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে, ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এ ব্লকের বাসায় গৃহবধু শারমিন গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে দাবি তার স্বামী কবির হোসেনের। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার উত্তর পাইং ডং গ্রামের আহমেদ সাফার মেয়ে শারমিন। 

কবির হোসেনের দাবি, তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই বসুন্ধরায় ক্যান্সার কেয়ার হোমে ক্লিনারের কাজ করেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। শাহিন আলম নামে ৭ বছরের এক ছেলে ক্যান্সার আক্রান্ত। দেড় বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছে। তবে আর্থিক অভাব অনটনের কারণে তার চিকিৎসা করাতে কষ্ট হচ্ছিল তাদের। এসব বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে গতকাল বুধবার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাতে খাবার খেয়ে তারা দুজনে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে কবির ঘুম থেকে উঠে দেখেন, শারমিন রুমে নেই। আর কবির হোসেনকে রুমের ভেতর রেখে দরজা বাহির থেকে বন্ধ করা। তখন তিনি প্রতিবেশী এক ভাড়াটিয়াকে ফোন করে বাসায় ডেকে দরজা খুলে দিতে বলেন। এরপর তিনি বাইরে গিয়ে দেখেন রান্নাঘরে আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে শারমিন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা দুটি বিস্তারিত জানার জন্য থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

এমএইচ

×