
ছবি: সংগৃহীত
প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক সোক্রেটিস শুধু তার যুগেই নন, আজও তিনি মানবচিন্তার জগতে এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাম। সত্য, ন্যায়, আত্মবিশ্লেষণ ও জ্ঞানের আলোয় তিনি বদলে দিয়েছেন দার্শনিক চেতনার ধারা। তার কিছু বাণী এখনো মানুষকে জীবনের গভীরতা বোঝাতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নিই সোক্রেটিসের এমনই ৮টি দর্শনভিত্তিক বাণী, যা আমাদের জীবনকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়:
১. “আমি জানি যে, আমি কিছুই জানি না।”
এটি বিনয় ও আত্মসমালোচনার অন্যতম শিক্ষা দেয়। সত্যিকার জ্ঞান শুরু হয় নিজের অজ্ঞানতা স্বীকারের মধ্য দিয়ে।
২. “একটি অনালোচিত জীবন, বেঁচে থাকার মতো জীবন নয়।”
সোক্রেটিস মনে করতেন, আত্মজিজ্ঞাসা ছাড়া জীবন অর্থহীন। জীবনের মানে ও উদ্দেশ্য খোঁজার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া উচিত।
৩. “সত্য বলাই সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।”
জীবনে যত চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন, সত্যের পথেই হেঁটে যাওয়াই শ্রেষ্ঠ।
৪. “জ্ঞানই হলো ন্যায়বোধের মূল।”
সঠিক-ভুলের পার্থক্য করতে হলে আগে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
৫. “নিজেকে জানো।”
আত্মচিন্তার এ বাণী ব্যক্তিগত উন্নতির দরজা খুলে দেয়। নিজের শক্তি ও দুর্বলতা বোঝা জীবন গঠনে সহায়ক।
৬. “শিক্ষা হলো আগুন জ্বালানোর মতো, একটা পাত্র পূর্ণ করার মতো নয়।”
সোক্রেটিস মনে করতেন, শিক্ষকতা মানে শুধু তথ্য দেওয়া নয়, বরং চিন্তার আগুন জ্বালানো।
৭. “অসৎ জীবন যাপন করা, মৃত্যুর চেয়েও খারাপ।”
নৈতিকতা ও সততার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে এই বাণী। মানুষের আসল শক্তি তার নীতিগত অবস্থানে।
৮. “অতিরিক্ত কিছুই ভালো না—তা সুখই হোক বা দুঃখ।”
সন্তুলন বজায় রাখাই জীবনের ভারসাম্যপূর্ণ রূপ।
সোক্রেটিসের এই বাণীগুলো কেবল কথার ধারা নয়—এগুলো জীবনের গভীর দর্শনের প্রতিচ্ছবি। তার শিক্ষা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে প্রেরণা জোগায়, ভুল থেকে শিখতে শেখায় এবং আত্মজিজ্ঞাসায় উদ্বুদ্ধ করে। জীবনকে যদি সত্যিকারের অর্থে বুঝতে ও বাঁচতে চান, সোক্রেটিসের এই দর্শনগুলো হতে পারে আপনার পথের দিশারী।
আসিফ