
লক্ষ্মীপুরের মধ্যে রামগঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এই উপজেলার প্রাকৃতিক পরিবেশে অনুকূলে থাকার কারণে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা জুড়ে নারিকেল, সুপারি’র বাগান বিস্তৃত। নারিকেল সুপারি আর ধানে ভরপুর এই উপজেলা। রামগঞ্জ উপজেলাকে নারিকেল সুপারির চাষের জন্য বিখ্যাত বলা যায়।
উপজেলার আনাচে-কানাচে, যে যেখানেই পারছে একরকম যেন নারিকেল-সুপারির বাগান সাজিয়ে বসে আছে। বিশেষত চন্ডিপুর,করপাড়া ও ভোলাকোট বিস্তীর্ণ নারিকেল ও সুপারি বাগানের ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ মন জয় করে নিয়েছে। নারিকেল গাছের চিরল পাতার ফাকে বাতাসের ঝাপটা, সুপারি গাছের সারি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেই। ব্যবসায়ীগণ এ এলাকার নারিকেল, সুপারি বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায় উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। এমনকি নারিকেল, সুপারি দেশের বাহিরেও রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
নারিকেল, সুপারি বিদেশে রপ্তানি করার ফলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়। এছাড়াও নারিকেল, সুপারি বিভিন্ন শিল্প কারখানার কাঁচামাল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এ উপজেলার সুপারি আকারে বড় এবং খেতে সুস্বাদু। করপাড়া,লামচর, চন্ডিপুর, নোয়াগাঁ প্রত্যেক ইউনিয়ন কে ধরা যায় নারিকেল, সুপারির জন্য বিখ্যাত।
তবে এখানে সুপারি উৎপাদন হয় সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে। বসতভিটা বা ফসলি জমির পাশে, বাড়ির আঙিনায়, পুকুরপাড়, রাস্তার দুই পাশ ও পরিত্যক্ত জমিতে সুপারি চাষ করা হয়। মৌসুমের শুরুতেই সুপারি বিক্রির বড় হাট বসে রামগঞ্জ শহরে সোনাপুর বাজারে, পানপাড়া ও মীরগঞ্জ বিভিন্ন হাটবাজারে সুপারি ঘিরে চলে জমজমাট ব্যবসা। সপ্তাহের দুদিন বেচাকেনা হয় এখানে। জানা গেছে, এখানে প্রতি হাটবারে ১০-৩০ লাখ টাকার সুপারি বেচাকেনা হয়। রামগঞ্জ যেনো সুপারী-নারিকেলের চিরায়ত এক ঐতিহ্য নিয়ে যুগ-যুগ টিকে আছে।
নোভা