
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের প্রথম বর্ষপূর্তি। এ উপলক্ষে ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সন্ধায় দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠান “জুলাই বিয়ন্ড বর্ডারস”।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর গণঅভ্যুত্থানকে ঘিরে আলোকচিত্র, পোস্টার এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ দেলওয়ার হোসেন। তিনি বক্তব্যের শুরুতে গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি জাতি চিরঋণী। তাঁদের আত্মত্যাগের চেতনা ধারণ করে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।”
"রেমিট্যান্স যোদ্ধা" শিরোনামে আয়োজিত অপর একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসীদের অবদানকে বিশেষভাবে তুলে ধরে বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন, তাঁদের অবদান অমূল্য। তিনি সবাইকে বাংলাদেশ প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের ঐক্যই দেশের শক্তি, তাই সকল বিভাজন ভুলে দেশ ও জাতির কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যমের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটি সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনাসভা শেষে রাষ্ট্রদূত অতিথিদের নিয়ে দূতাবাস চত্বরে আয়োজিত শহিদদের স্মরণে আলোকচিত্র, পোস্টার ও গ্রাফিতি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠান শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের দ্রুত সুস্থতা এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
রাজু