
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসরায়েলি অবরোধ আর হামলায় ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে গাজা। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি ড্রোন ও বিমান হামলায় কমপক্ষে ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশু এবং নারী রয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল থেকে গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়। গাজা সিটির সাবরা এলাকায় একটি তাবুতে ঘুমিয়ে থাকা তিন শিশু, তাদের মা ও সৎবাবাকে একসাথে হত্যা করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। এরা ছিলেন তালিব পরিবার।
দেইর আল-বালাহ শহরে গৃহহীনদের একটি তাবুতে হামলায় ৪ জন নিহত হয়, আরও অনেকে আহত। গাজার তুফাহ ও শেখ রাদওয়ান এলাকায় ড্রোন ও বিমান হামলায় আরও অন্তত ৭ জন নিহত হন। দক্ষিণের রাফাহ উপকূলে নৌ-হামলায় মোহাম্মদ আল-বারদাওয়িল নামের একজন নিহত হন। ইসরায়েল মার্চের শুরু থেকেই ওষুধ, খাবার, জ্বালানি – সব ধরণের সাহায্য গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গাজার ২৩ লাখ মানুষ এখন এক মুঠো খাবারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন, কিন্তু অনেকেই খালি হাতে ফিরছেন। যেসব রান্নাঘর একসময় ১০০ জনকে খাওয়াতো, এখন ২০০০ জনকে একবেলার খাবার দিতে বাধ্য হচ্ছে। শিশুরা মারা যাচ্ছে অপুষ্টিতে। এছাড়া ডায়াবেটিস, ক্যানসারসহ জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষ ওষুধের অভাবে মারা যাচ্ছেন। একজন ফিলিস্তিনি বাবা বলেন, ‘আমার ১০ বছরের ছেলের ডায়াবেটিস আছে। ইনসুলিন নেই। দিনরাত ওষুধের খোঁজে বেরিয়ে পড়ি।’
অন্যদিকে গাজা শহরের একজন চিকিৎসক বলেন, ‘এটা শুধু মানবিক বিপর্যয় নয়, এটা মানবতার চরম ব্যর্থতা।’ এমন অবস্থায় জাতিসংঘ বলছে, গাজার মানুষ ধ্বংসের মুখে। শিশুদের না খেয়ে মরতে দেওয়া এক অমানবিকতা।
সূত্রঃ আল-জাজিরা
আরশি