‎মধুর প্রেম

ফকির মারুফ হাসান দিদার

অতি আনন্দ হর্ষ বিষাদে  ‎গড়া যে পাষাণ জীবন, ‎সেই জীবনেরই ভক্তি পূজাতে ‎কেন ব্যস্ত প্রতি ক্ষণ? ‎ ‎বাসিতেছি ভালো তাহারে যাহা  ‎বাসার যোগ্য নয়, ‎পূজার বেদিতে মারিতেছি লাথি ‎দেবতা যেখানে রয়! ‎ ‎ক্লেষ্ট জড়ানো জীবনের প্রতি ‎এত মোহ মায়া কেন, ‎অঙ্গারে প্রেমি, অঙ্গারে চুমি ‎অঙ্গারে ঝাঁপি যেন!  ‎ ‎চির শাশ্বত, চির সুন্দর  ‎মৃত্যুই শুরু শেষ, ‎বলতে, ভাবতে শুধু কাপে বুক ‎বলি ভাবি এই বেশ!

দূরের আকাশে কখনো তাকিয়েছো  বড় মায়ায় মুগ্ধ করে যে আকাশ! 

ইদানীং জল জোছনায়  আগুনের উত্তাপ

আচ্ছা! আত্মারও তো খোরাক আছে। যা না পেলে সে মৃতপ্রায়!

সত্তরের দশক,উত্তাল বাংলা! সামাজিক ও রাজনীতির উত্থান-পতন, ত্যাগ-প্রাপ্তি এবং পরিশেষে বিশ্বের বুকের শকুনের ছোবল থেকে সবুজের জমিনে লাল উদীয়মান সূর্যের উদয়।ইতিহাসে প্রবল এই সংকটময়তার ছায়া মাড়িয়েছে প্রতিটি বাঙালির জীবন; সাধারণ শান্তিকামী বাঙালি হতে শুরু করে লেখক-শিল্পী-বুদ্ধিজীবী কেউই বাদ যাননি।বাঙালি জাতির সাহিত্য ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা নবরূপে শানিত হয়েছে যে মহালগ্নে, যাদের কলমের ধারে গুড়িয়ে গেছে শত্রুর বেয়নেট; ঠিক সেই সময়েই একজন নব কাণ্ডারীর উত্থান হয়েছিলো। যিনি কীনা “জাতির পতাকা খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন” বলে দেশবাসীকে সেই শাশ্বত মূহুর্তের কথা স্মরণ করাতে থাকেন যখন আমাদের জাতীয় পতাকা তাঁর পরিচয় লাভ করেছিলো; সেই রক্তাক্ত জাতীয় পতাকা যার মধ্য কীনা কবি তাঁর ধর্ষিতা বোনের শাড়ি খুঁজে পেতেন। ৩৪ বছর পূর্বে কেবল ৩৪ বছর বয়সে অকালপ্রয়াণ হওয়া কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-এর মৃত্যবার্ষিকী আজ।

তিন কিশোর আনন্দে মগ্ন হয়ে গড়ে তুলছে বালির দুর্গ। মাঝখানে হাসিমুখে ছেলেটির উচ্ছ্বাস যেন পুরো দৃশ্যটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।

ব্যক্তি রুদ্র ও কবি রুদ্র উভয় সত্তাই বাঙালি পাঠক সমাজের চেতনা ধারায় এক অনন্য সংযোজন।

পৃথিবী জুড়েই চলছে আজ যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা,

সবার দেহ ভারী পোষাকে আচ্ছন্ন থাকিলেও  লাশের শরীরে মাংসটুকুও ছিল না নিয়ন আলোর নিচে পরে থাকা লাশটি শেয়াল কুকুর হায়েনা কাক মশা আর চিকারা মিলেমিশে খেয়েছে! পাঁজরের হাড়গুলো তীর-ধনুকের  মতো তরবারির মতো- কাহাকে খুঁজিতেছে।

বৃষ্টি সোহেল রানা 

শ্রাবনের কোন এক রাতে ডায়েরিটা কমল আমাকে দিয়েছিলো। তারপরে অনেক বছর অতিবাহিত হয়েছে। ভেবেছিলাম বিষয়টি ভুলে যাবো। পারলাম না। লেখাগুলো আমাকে তাড়া দিতে লাগলো। আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আর কোন গল্প লিখবো না। কিন্তু বিন্দু সর্ম্পকে দিন দিন আমার কৌতুহল বাড়তে থাকে। আমি তাকে খুঁজতে শুরু করি।

জ্বলন্ত আকাশের তলে হেঁটে যায় এক বিদ্রোহী, গর্জে ওঠে বুকে তার ন্যায়ের গান, স্বাধীনতার রবি। পদতলে কাঁপে মাটি, আকাশে বাজে বজ্রধ্বনি, তলোয়ার আর সুরের মিলনে জাগে মুক্তির বাণী।

মরীচিকার পিছে ছোটা এক জীবন বিভীষিকাময় যন্ত্রণায় আজ কাতর দুঃখ আলিঙ্গনে আজ বিবস্ত্র প্রায়  অধরা সুখের সন্ধানে আজ নিস্তেজ দেহ

গ্রামবাংলার গৃহস্থ নারীদের সঙ্গে গৃহপালিত মুরগীর যে সখ্যতা, তা কেবল অর্থনৈতিক বিষয় নয়, বরং এটি এক আন্তরিক সম্পর্ক, এক গভীর মানবিকতার বন্ধন। শহরের পোলট্রি ফার্মগুলোতে যেখানে মুরগী কেবলই লাভ-লোকসানের হিসাব, সেখানে গ্রামের কৃষাণি মুরগীকে দেখেন সন্তানসদৃশ স্নেহে।

পৃথিবী যেখানে দাঁড়িয়ে