
বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জিতুর সঙ্গে মেয়ের বিয়েতে রাজি না হওয়ায় গত ১৪ জুন বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শাকিলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত শাকিলের পরিবারের অভিযোগ, এই জিতু একাধিক মামলার আসামি এবং একটি মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হলেও আদালত থেকে জামিন নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় গড়ে তোলে ‘জিতু বাহিনী’।
যদিও সেই নেতারা এখন পিছু হটেছে, জিতু বর্তমানে নতুন রাজনৈতিক আশ্রয়ে নানা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শাকিল হত্যা মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হলেও এখনও ১৪ জন পলাতক। নিহতের পরিবার জানায়, আসামিরা নিয়মিতই প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শুধু জিতু বাহিনী নয়, বগুড়া শহরের অন্তত ১৫টি এলাকায় কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। এসব গ্যাংয়ে সদস্য সংখ্যা শতাধিক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হন দুই সাংবাদিক এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব গ্যাং সংস্কৃতির পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের সামাজিক অবক্ষয় এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন।
মুমু