
কুড়িগ্রাম জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির পাশাপাশি গবাদিপশু লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে এসব পশু পালন করতে গিয়ে নানা সময় রোগবালাইয়ের কারণে গরু, ছাগল, মহিষ মারা যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশুপালন-নির্ভর পরিবারগুলো। এমন পরিস্থিতিতে গবাদিপশুর বীমা প্রকল্প এই জেলার মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হিসেবে কাজ করতে পারে।
গবাদিপশুর বীমা প্রকল্পের আওতায় বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদরের অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারে ‘গবাদিপশুর বীমা প্রকল্পের মাঠ কার্যক্রমের সমাপ্তি ও ব্যবসা বৃদ্ধির পরিকল্পনা’ বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা আক্তারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কামরুল হাসান এবং উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রেবা বেগম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুইস কন্ট্রাক ইনভেস্টমেন্টের ম্যানেজমেন্ট অফিসার নাহিয়ান আনজারা এবং প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর আলমগীর হোসেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার অধিকাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গবাদিপশু পালন করে থাকেন। এ কারণে ভবিষ্যতের সুরক্ষার জন্য গবাদিপশুর বীমা প্রতিটি পরিবারের জন্যই অত্যন্ত জরুরি।
কর্মশালায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি গবাদিপশুর বীমা আরও কীভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
সজিব