
সকাল এ ট্রেনের টিকিট কাটা হলো। একটা বাঁশির শব্দে ট্রেন চলা শুরু করল! আমি টান টান উত্তেজনা নিয়ে বসে আছি, ট্রেন চলছে ......!
ঢাকার কোলাহল ছেড়ে যখন গ্রামের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন ভালো লাগছিল! চারপাশে সবুজ ক্ষেত! নীল আকাশ! যান্ত্রিক জীবন থেকে মুক্তি! দেখতে দেখতে চট্টগ্রামে পৌঁছেগেলাম।
স্টেশনে ফুপা আমাদের অপেক্ষায় ছিলো, তারপর চলে গেলাম তাদের বাসায়। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর আমরা রাতে সবাই মিলে রওনা হলাম কক্সবাজারের উদ্দেশে!
পরেরদিন সকাল এ ঘুম থেকে উঠেই আমি চিৎকার করে বললাম," আমরা কি চলে এসেছি বাবা"? বাবা হেসে বলল হ্যাঁ মা! আমি আপু আম্মু রেডি হয়ে গেলাম ফুপিদের ডাকতে! তারপর সকালের নাস্তা করে হাঁটতে লাগলাম সমুদ্রের দিকে ......!
বীচে যাবার পর আমাদের আনন্দ যেন শেষ হয় না! সমুদ্রে গোসল শেষে এবার ফেরার পালা! হোটেল এ যাবার পথে আম্মু কিছু কেনাকাটা করার জন্য বীচের মাকের্ট এ গেলো। সাথে আমরা টুক টাক জিনিষপত্র দেখছি! একটা জায়গায় অনেক ভিড় দেখে আমি সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি কি হচ্ছে! হঠাৎ ফুপির হাত ধরে বললাম এটা সুন্দর না? খেয়াল হলো উনি ফুপি না!! পিছনে ফিরে দেখলাম কেউ নেই! না আব্বু আম্মু! না ফুপি, আপু!
এইদিকে বাবা আপুকে নিয়ে, ফুপি ভাইকে নিয়ে আর আম্মু ভেবেছে আমি বাবার সাথে আছি,এটা ধরে নিয়ে হোটেল পযর্ন্ত চলে গেছে! হঠাৎ বাবা খেয়াল করল আমি নেই! সাথে সাথে সময় ক্ষেপণ না করে দৌড়ে গেলো বীচের ওখনে! পিছনে সবাই!
স্মৃতিগুলো ধুসর! এটুকুই মনে আছে, অচেনা জায়গায় অচেনা এক আঙ্কেলর হাত ধরে আমি তন্নতন্ন করে সবাইকে খুঁজছি!
তখন দূর থেকে দেখলাম আব্বু আসতেছে! আমি আঙ্কেল এর হাত টান দিয়ে বললাম,"ওইযে বাবা"!
তারপর তো বাবা এসে জড়িয়ে ধরল আর সবাই জানালো সেই আমার বাবা! আমাকে নিয়ে গেলো এটাই আমার প্রথম হারিয়ে যাওয়ার গল্প!
রাজু