ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

রাত জাগার কারণে কী ভয়াবহ বিপদ হতে পারে জানেন?

প্রকাশিত: ০০:৪০, ১৫ জুলাই ২০২৫

রাত জাগার কারণে কী ভয়াবহ বিপদ হতে পারে জানেন?

অনেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন স্ক্রল করেন, কেউ সিনেমা বা সিরিজ দেখতে বসেন, আবার কেউ বই পড়তে পড়তে দেরি করে ফেলেন। ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে ঘুমাতে যাওয়ার এই অভ্যাসই একসময় অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ার মতো জটিলতার দিকে ঠেলে দেয়।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগে বয়স্কদের মধ্যে ঘুম না হওয়ার সমস্যা বেশি দেখা যেত। কিন্তু এখন তরুণদের মধ্যেই অনিদ্রা প্রকট হচ্ছে। স্মার্টফোনে আসক্তি, সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় দেয়া এবং রাত জাগার প্রবণতা এর বড় কারণ। অনেকেই ভোরের দিকে গিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছেন, যা শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই মারাত্মক ক্ষতি করছে।

রাত জাগার ক্ষতিকর প্রভাব

অনিদ্রা: নিয়মিত দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রার ঝুঁকি বাড়ায়। এতে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ক্লান্তি ও তন্দ্রাভাব: রাতে ঠিকমতো না ঘুমালে দিনভর ক্লান্তি ও তন্দ্রাভাব দেখা দেয়। ফলে কর্মজীবীদের অফিসে মনোযোগ নষ্ট হয়, কাজের ভুলের হার বেড়ে যায়।

খিটখিটে মেজাজ: ঘুমের অভাব মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে। উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও বিরক্তিভাব বেড়ে যায়।

 স্বাস্থ্যঝুঁকি: দীর্ঘদিনের রাত জাগার অভ্যাস স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

রাত জাগার অভ্যাস বদলাবেন কীভাবে?

ঘুমের সময় ঠিক রাখুন: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন—even ছুটির দিনেও।

ফোন দূরে রাখুন: ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে ফোন স্ক্রল করা বন্ধ করুন। শোবার ঘর থেকে টেলিভিশন ও ফোন দূরে রাখুন।

ঘুমের প্রস্তুতি নিন: রাতে ভারী খাবার খাবেন না। ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন। হালকা আলোতে প্রিয় বই পড়ুন, মন শান্ত করতে গান শুনুন।

ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন: ঘুমানোর আগে চা, কফি বা এনার্জি ড্রিঙ্কস থেকে দূরে থাকুন।

মেডিটেশন করুন: কয়েক মিনিটের মেডিটেশন বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন মনকে শান্ত করে।

মিমিয়া

×