
বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ইউটিউব খুললেই চোখে পড়ে “হাইট বাড়ানোর ম্যাজিক পিল”, “সোফায় লাফ দিয়ে বাড়ান উচ্চতা”, কিংবা “লম্বা হন কয়েক ইঞ্চি”– এমন সব চটকদার দাবি। কিন্তু প্রশ্ন হলো—আসলেই কি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে হাইট বাড়ানো সম্ভব?
“টলার পিল” বা “হাইট ম্যাক্সিমাইজার” প্রডাক্টগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, বরং অনেক ক্ষেত্রেই তা শরীরের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
লম্বা হওয়ার একমাত্র বাস্তব ও কার্যকর উপায় হচ্ছে লিম্ব লেংথনিং সার্জারি—যেখানে হাড় কেটে ধীরে ধীরে টেনে বড় করা হয়। তবে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল, কষ্টকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ।
হাইট বাড়ার প্রাকৃতিক সময় কখন?
মানুষের উচ্চতা প্রধানত জেনেটিক্স বা বংশগতির ওপর নির্ভরশীল। ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে পিউবার্টি পিরিয়ডে হাইট বাড়ে সবচেয়ে বেশি।
-
মেয়েদের পিউবার্টি শুরু: ৮–১৩ বছর
-
ছেলেদের পিউবার্টি শুরু: ৯–১৪ বছর
-
মেয়েদের পিক গ্রোথ টাইম: ১১–১৩ বছর
-
ছেলেদের পিক গ্রোথ টাইম: ১৩–১৫ বছর
এই সময়গুলোতে সঠিক পুষ্টি ও নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম নিশ্চিত করা গেলে সন্তানের উচ্চতা তার সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছাতে পারে।
কোন কোন পুষ্টি জরুরি?
-
ক্যালসিয়াম
-
ভিটামিন ডি
-
ভিটামিন সি
-
ভিটামিন ই
-
ম্যাগনেসিয়াম
-
প্রতিদিনের দুধ
-
মাল্টিভিটামিন (প্রয়োজনে)
এই উপাদানগুলো শিশুর হাড়ের গঠনে এবং গ্রোথে সহায়ক।
সানজানা