
ইউরিক অ্যাসিড হলো খাবার ও শরীরের কোষবিন্যাসে থাকা পিউরিন ভাঙনের উপশ্রেণী। এটি সাধারণভাবে রক্তে থাকে, কিডনির মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তবে খারাপ ডায়েট, ওজন, অলস জীবন, অ্যালকোহল, ফ্যাকরোস অ্যালকোহল বা মিশ্র খাবারের কারণে এটি বেড়ে যাওয়া (হাইপারইউরিসেমিয়া) সম্ভাবনা থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরিক অ্যাসিড লেভেল বাড়লে হঠাৎ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ ইউরিক অ্যাসিড রক্তনালীর ভেতরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা অনেক সময় ধমনির সংকোচন ও অটো প্রতিক্রিয়া জন্মায় । ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ফলে শরীরের মেটাবলিজম ব্যাহত হয়। ইনসুলিন কার্যকারিতা কমে, রক্তচাপ বাড়ে ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় ।
ইউরিক অ্যাসিডের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে গাউট, কিডনি স্তর ও পাথর সৃষ্টি, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ‑২ ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার ও হৃদরোগ এই সবের সঙ্গে ।
তাই প্রয়োজন ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা
-
ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধ
-
ডায়েট পরিবর্তন:
→ পিউরিন‑সমৃদ্ধ খাবার কমিয়ে দিন (লাল মাংস, সামুদ্রিক খাবার, অ্যালকোহল, সুগারযুক্ত পানীয়) ।
→ ড্যাশ বা মিডিটারেনিয়ান ডায়েটে ফোকাস করুন: ফল, সবজি, সম্পূর্ণ শস্য, কম‑ফ্যাট দুধ ইত্যাদি। -
হাইড্রেশন: পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি, যাতে ইউরিক অ্যাসিড সহজে বের হয় ।
-
নিয়মিত ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন হলে ইউরিক অ্যাসিড ও মেটাবোলিক ঝুঁকি উভয়ই বাড়ে। হার্ড ফাস্টিং পরিহার করুন — তা ইউরিক লেভেল হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে ।
-
প্রয়োজন হলে মেডিকেশন: ডাক্তারের পরামর্শে অ্যালোপুরিনল, বেনজব্রোমারন বা অন্যান্য ইউরিক কমানো ওষুধ ব্যবহার করুন ।
-
শরীরিক পরীক্ষা ও মেয়াদী নিরীক্ষণ: রক্ত ও ইউরিন টেস্ট করে ইউরিক অ্যাসিড নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন—বয়স, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ হলে প্রতি ৬–১২ মাস অন্তর যেতে পারে ।
-
সানজানা