
ছবি: জনকণ্ঠ
সারা দেশে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শিশুদের নানা শারীরিক জটিলতা। ডায়রিয়া, হিট স্ট্রোক, ঘামাচি ও পানিশূন্যতার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু। তাই এ সময় শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, গরমে শিশুদের যত্নে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন: গরমে শিশুর শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরে, ফলে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এজন্য শিশুদের পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে। বড় শিশুরা চাইলে ডাবের পানি, লেবুর শরবত বা ওআরএস খেতে পারে।
শিশুদের সুতি ও ঢিলেঢালা পোশাক পরানো উচিত। এ ধরনের কাপড় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং ঘামাচির ঝুঁকি কমায়।
দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময়ে শিশুদের বাইরে বের হওয়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
গরমে ভারী ও তেলঝাল খাবার শিশুর হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এই সময় শিশুদের সহজপাচ্য, স্বাস্থ্যকর এবং ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ানো উচিত।
প্রতিদিন একাধিকবার ঠান্ডা জলের (কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা নয়) গোসল শিশুর শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং আরাম দেয়।
যতটা সম্ভব শিশুর ঘর ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে পাখা, কুলার বা এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তবে সরাসরি ঠান্ডা হাওয়া শিশুর গায়ে লাগানো থেকে বিরত থাকুন।
গরমে কোন লক্ষণগুলো বিপদের সংকেত?
শিশুর শরীরে অতিরিক্ত তাপ, দুর্বলতা, পাতলা পায়খানা, বমি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা ঘন ঘন পানি না খাওয়ার প্রবণতা দেখা গেলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শিশুর যত্নে অবহেলা হলে সাধারণ সমস্যা থেকেও বড়হ বিপদ ঘটতে পারে। তাই এই গরমে সচেতন থাকা জরুরি, বিশেষ করে ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে।
আপনার শিশু সুস্থ থাক, নিরাপদ থাক — এই কামনায়।
সাব্বির