
ছবি: সংগৃহীত
বাংলার প্রতিটি রান্নাঘরে যে উপাদানটি প্রতিদিন ব্যবহার হয়, সেটিই আবার ত্বকের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমরা কথা বলছি হলুদ নিয়ে। এটি শুধু রান্নার স্বাদ-রং বাড়ায় না, বরং ত্বকের যত্নেও রাখে দারুণ কার্যকারিতা।
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক উপাদান, যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ত্বকের নানা সমস্যা যেমন ব্রণ, র্যাশ, ফাঙ্গাল ইনফেকশন এমনকি বয়সের ছাপ কমাতেও এর জুড়ি নেই।
হলুদের উপকারিতা এক নজরে:
1.ব্রণ ও দাগ প্রতিরোধে কার্যকর
2.ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও স্কিন টোন ইভেন করে
3.রোদে পোড়া দাগ হালকা করে
4.ফুসকুড়ি বা র্যাশ কমায়
5.ত্বকের চুলকানি ও ইনফেকশন হ্রাসে সহায়তা করে
ঘরোয়া রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার পদ্ধতি:
১. হলুদ-মধু-মুলতানি ফেসপ্যাক:
আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ গুঁড়া
১ চা চামচ মধু
১ চা চামচ মুলতানি মাটি
সব উপাদান মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের দাগ ও রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে।
২. হলুদ-দুধ-চন্দন ফেসপ্যাক:
১ চিমটি হলুদ
১ চা চামচ দুধ
১ চা চামচ চন্দন গুঁড়া
এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ব্রণের প্রভাব কমায়।
সতর্কতা:
1.বাজারের কৃত্রিম রংযুক্ত হলুদ ব্যবহার না করা ভালো
2.অতিরিক্ত পরিমাণে লাগালে ত্বকে হলুদ ছোপ পড়তে পারে
3.সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহারের আগে অবশ্যই টেস্ট করুন
প্রাচীনকালের "ঐশ্বর্যময়ী রূপ" অর্জনের ঘরোয়া গোপন ছিল যে উপাদানে, সেটি আজও সমান কার্যকর—সেই হলুদ। এটি শুধু একটি মসলা নয়, বরং প্রকৃতির দেওয়া উপকারী স্কিন কেয়ার উপাদান। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ফিরিয়ে আনতে পারেন প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও নিখুঁত সৌন্দর্য।
Mily