নড়াইলে বিএনপি নেতা লতিফের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র — অধ্যাপক নাগিব

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাটের ওপর পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং নাগরিক সমাজে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ১২ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নিজ বাসভবন দক্ষিণ যোগানিয়ায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বি.এম. নাগিব হোসেন বলেন, “এ হামলা কেবল একজন নেতার ওপর নয়, এটি বহির্বিশ্বে গড়ে ওঠা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র। এটি রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক এবং গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের প্রতিচ্ছবি।”

তিনি আরও জানান, ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার ৪২টি দেশে বিএনপির সংগঠন পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আব্দুল লতিফ সম্রাট। তাঁর বলিষ্ঠ কণ্ঠ বহির্বিশ্বে জাতীয়তাবাদী শক্তির অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত।

অধ্যাপক নাগিব বলেন, “এমন একজন ব্যক্তির ওপর তাঁর জন্মভূমিতে এমন পৈশাচিক হামলা দেশের গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সহিষ্ণুতার জন্য গভীর হুমকি।”

প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে (রবিবার) কালিয়ার বাঐশোন ইউনিয়নের যোগানিয়া এলাকায় একটি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন লতিফ সম্রাট। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলায় সম্রাট ছাড়াও মুন্সী আসাবুর রহমান, রবিউল ইসলামসহ প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হন।

অধ্যাপক নাগিব এই ঘটনাকে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “এটি নিছক কোনো স্থানীয় ঘটনা নয়; বরং রাষ্ট্রীয় নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া একজন জাতীয়তাবাদী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা।”

তিনি এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ফোরামকেও প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ও আইনি পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।

এ হামলার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের বিএনপি শাখা সংগঠন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্রাটের পক্ষে সংহতি ও প্রতিবাদের ঢল নেমেছে।

অধ্যাপক নাগিব হোসেন বলেন, “রাজনীতি মানে মতভিন্নতা, কিন্তু সহিংসতা কখনোই গণতন্ত্রের পথ হতে পারে না। এখনই সময় রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে সহনশীলতার মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসনের পথ বেছে নিতে হবে। প্রতিবাদ না করলে ভবিষ্যতে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আরও সংকুচিত হবে।”

তিনি হামলার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের শাস্তি এবং ভবিষ্যতের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।