
ছবি: জনকণ্ঠ
চন্দনাইশ উপজেলার ৮ নং ওয়ার্ডের আব্দুল বারী হাট এলাকার সড়কটি ভেঙে পড়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সংস্কার করার বানী শুনালেও আজও হয়নি সংস্কার। হালকা বৃষ্টি হলেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কারপিট। গ্রামীণ জনপদের গ্রামীণ সংস্কারে লক্ষ টাকার বাজেট থাকলেও যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের দাবি।
বাগিচাহাট এলাকা থেকে আব্দুল বারীহাট এলাকায় সড়কে ছোট-বড় মাঝারি গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে কিছুটা সমস্যা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে যানবাহনগুলো। রাতে পৌরসভার লাইট না থাকায় প্রায় জায়গায় ঘন অন্ধকার থাকায় প্রায় সময়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। ক্ষতির মুখে পড়েছে অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল সহ মিনি যানবাহন।
জানা যায়, জনপদের মেঠো সড়কটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭/৮ বছর আগে। মেরামতের
কোনো উদ্যোগ না থাকায় এভাবে ভোগান্তির রোষানলে পড়েছে ৫/৬ গ্রামের প্রায় ১৫/২০ হাজার মানুষ।
স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল বারী হাট সড়কসহ আশপাশের সড়কগুলো খুবই নিম্নমানের, বেশিদিন টেকসই হয় না। অল্প বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যাচ্ছে সড়কের পাথর, ভেঙে পড়েছে দু'পাশের অংশ। ঠিকাদারদের ঠিক থাকে না কাজের মান, ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের উপকরণ। ফলে, প্রতি বছর বর্ষায় বৃষ্টি হলেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে। যার কারণে এলজিইডির মোটা অঙ্কের টাকা অপচয় হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর ( এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী জোনায়েদ আহমেদ জানান, সড়কটি মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থবছর জুন মাস শেষ হলে, জুলাই মাসে সড়ক সংস্কারের জন্য বার্ষিক একটা বাজেট রয়েছে। সড়কটি মেরামতের জন্য তালিকায় রয়েছে। দ্রুত সংস্কার করার জন্য চেষ্টা করবো।
সাব্বির