
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দুটি প্রাকৃতিক গ্যাস স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী—যা মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘর্ষকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় একটি ছোট ইসরায়েলি ড্রোন দক্ষিণ পারস গ্যাস কনডেনসেট ফিল্ডের একটি অংশে আঘাত হানে, যার ফলে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মূলত অফশোরভিত্তিক (সমুদ্রের তীর থেকে দূরে) এই গ্যাসক্ষেত্রটির কিছু অনশোর (স্থলভাগে অবস্থিত) অংশও রয়েছে। হামলাটি হয়েছে ফিল্ডটির ফেইজ ১৪ নামক স্থলভাগে। বিস্ফোরণের কারণে কিছু সময়ের জন্য গ্যাস উৎপাদন বন্ধ থাকলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ড দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং তা অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েনি।
এছাড়াও, ইসরায়েলি বাহিনীর আরেকটি ছোট ড্রোন পূর্ব বুশেহর প্রদেশে অবস্থিত ‘ফাজরে জাম’ প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনাতেও হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে শুক্রবার রাত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের ভেতরে হামলা শুরু করে। প্রথম ধাপে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও পরমাণু স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। একই সঙ্গে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
এই ঘটনার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান তেলআবিব ও জেরুজালেমে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের অভিযানের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই প্রতিক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর সরাসরি হামলার ফলে চলমান সংঘর্ষ এক নতুন, অধিকতর বিপজ্জনক ধাপে প্রবেশ করেছে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না এলে পুরো অঞ্চলেই বড় পরিসরের যুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে।
সূত্র: ইরনা।
রাকিব