
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের গুজরাত রাজ্যের আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১। বোয়িং ড্রিমলাইনারটি সোজা গিয়ে আছড়ে পড়ে বিজে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের উপর। আর তার আগমুহূর্তে ককপিট থেকে ভেসে আসে কাঁপানো এক বার্তা— “থ্রাস্ট আসছে না... পড়ে যাচ্ছি... মে ডে! মে ডে! মে ডে!”
এই শেষকথাগুলোই ছিল বিমানের পাইলটের। আহমেদাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে এই বিপদের বার্তা পৌঁছায় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এ। এরপরই সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
শীর্ষ পর্যায়ের তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানটি প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার রানওয়ে পেরিয়ে গিয়েছিল, যেখানে সাধারণত বড় বিমানের জন্য ২.৫ থেকে ৩ কিলোমিটারই যথেষ্ট হয়। এর মানে, উড্ডয়নের জন্য প্রয়োজনীয় গতি বা থ্রাস্ট হয়তো ঠিকমতো অর্জিত হয়নি।
একজন তদন্তকারী সূত্র জানায়, “বিমানের থ্রাস্ট-সংক্রান্ত সমস্যাই প্রাথমিকভাবে দায়ী হতে পারে। তবে ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক কারণ বলা যাবে না।”
বিমানবন্দরের সূত্র জানিয়েছে, দুর্ঘটনার আগে কোনো ধরনের সতর্কতা বা অনুরোধ জানায়নি ককপিট— না রানওয়ে বদলের, না থ্রাস্ট বা ফ্ল্যাপ পরিবর্তনের। আবহাওয়াও স্থিতিশীল ছিল, দৃষ্টিসীমাও ছিল পরিষ্কার। গরম থাকলেও তা বিমান চলাচলের সীমার মধ্যেই ছিল।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিমানটি অনেকটা লম্বা রান নিয়ে উড্ডয়নের চেষ্টা করে। এটিসি বা মাটিতে থাকা কর্মীরা কোনো ইঞ্জিন সমস্যার সঙ্কেত পাননি, বিমানের ওঠানামাতেও কোনো অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি।
সব নিয়ম ও নিরাপত্তা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখন সমস্ত নজর ব্ল্যাক বক্সে সংরক্ষিত ফ্লাইট ডেটা ও ককপিট রেকর্ডারের উপর। সেগুলো বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে, কেন থ্রাস্ট ব্যর্থ হল এবং কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এম.কে.