আমার বাবার নাম মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। পেশায় তিনি ছিলেন একজন স্থানীয় চিকিৎসক। আমার বাবা! ছোট বেলায় হেলিকপ্টার দেখা থেকে নববর্ষ। সবখানেই আমার খুশির একমাত্র মাধ্যম বাবা। ঘুম থেকে উঠে বাবাকে না দেখলে অনেক কান্না করতাম। চাকরি সূত্রে বাবার সঙ্গে আমার দেখা হতো প্রায় ৭ দিন পর শুক্রবারে।
খুব অবাক হই তখন যখন ভাবি বাবা আমার আমাদের মাঝে নেই। বাবা যিনি ছিলেন আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গত বাবা দিবসেও "বাবাই আমার সুপারহিরো" শিরোনামে আমার একটু লেখা প্রকাশ করে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় গনমাধ্যম "ঢাকাপোস্ট"।
আর আজ ৩২০ দিন হলো বাবা আমাদের মাঝে নেই।
বাবা যে কতটা ভালোবাসতেন আমাদের তার প্রমাণ যখন শহরের বাইরে থাকতাম তখন ১০ মিনিট পর পর তার ফোন কল পেলেই বুঝা যেত। আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে শক্ত মানুষ আমার বাবা। তিনি পুরো পৃথিবীর দুঃখ একপাশে নিয়ে আজও আরেকপাশে রেখেছেন আমাদের সুখ।
করোনাকালেও সন্তানদের জন্য বাবার উৎকণ্ঠা অবিকল। নিজের করোনা পজিটিভ নিয়েও চিন্তা করে গেছেন যেন আমার সন্তান ভালো থাকে। বাবা অসুস্থ যখন চিকিৎসাধীন ভারতের ভেলোরে তবুও তিনি বারবার আমাকে সাহস জুগিয়েছেন যেন আমরা ভয় না পাই। সন্তানের জন্য বাবারা নিজ ভয়কে জয় করেছেন। অথচ বাবাকে কখনো বলা হয়ে ওঠে নি, ‘বাবা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’
বাবা! আমি আসলেই অনেক অনেক অনেক ভালোবাসি আপনাকে আর সেটা কতটুকু সত্য তার প্রমাণ আজকের লেখাগুলো লেখার সময় আমার চোখের জলধারাই বলে দিচ্ছে। পৃথিবীর বাবা ভালো থাকুক ওপারে।
রাজু
