
বাগেরহাট জেলা ও চিতলমারী উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কমিটিতে আওয়ামী লীগপন্থীরা স্থান পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাগেরহাট জেলা এনসিপির সদস্য বোরহান উদ্দিন, চিতলমারী উপজেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী নুরুল আমিন শেখ, সদস্য জাকারিয়া খান, রানু আক্তার, সাজ্জাদ গাজী মিঠুনসহ আরও অনেকে পদত্যাগ করেছেন। আওয়ামী লীগপন্থীদের স্থান দেওয়ার প্রতিবাদ করায় তাদের ওপর হামলা ও মারধরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের বিচার দাবি করেছেন তারা।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১১টায় চিতলমারী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। জেলা এনসিপির সদস্য বোরহান উদ্দিনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চিতলমারী উপজেলা এনসিপির সদস্য জাকারিয়া খান।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৩ জুন বাগেরহাট জেলা এবং চিতলমারী উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির কমিটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থান ও আন্দোলনে সম্পৃক্তদের সঙ্গে আলোচনা না করে তাদের পছন্দের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে বুধবার সকাল ১১টার দিকে বাগেরহাট মাজার গেটে দারুচিনি হোটেলের সামনে চিতলমারী উপজেলার এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী নুরুল আমিন শেখকে জেলা এনসিপির সমন্বয়ক ও সদস্য শারাফাতুল ইসলাম এবং তার লোকজন মারধর করেন। এতে কয়েকজন রক্তাক্ত আহত হন। এ ঘটনায় বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জাকারিয়া আরও জানান, শারাফাতুল ইসলাম ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চিতলমারী উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার হাত ধরেই আওয়ামী লীগপন্থীরা এনসিপিতে স্থান পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাগেরহাট জেলা এনসিপির সদস্য বোরহান উদ্দিন, নুরুল আমিন শেখ, জাকারিয়া খান, রানু আক্তার, সাজ্জাদ গাজী মিঠুনসহ অনেকে পদত্যাগ করেন।
তারা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আওয়ামী লীগপন্থীদের বাদ দিয়ে নতুন করে ত্যাগী কর্মীদের নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি দেওয়ার জোর দাবি জানান।
সজিব