ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ব্রেইন টিউমার নিয়ে ৫টি প্রচলিত ভুল ধারণা ও বাস্তব তথ্য

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ১২ জুন ২০২৫

ব্রেইন টিউমার নিয়ে ৫টি প্রচলিত ভুল ধারণা ও বাস্তব তথ্য

ছবিঃ সংগৃহীত

মস্তিষ্কে টিউমার—এই শব্দটাই অনেকের মনে ভয় আর বিভ্রান্তি তৈরি করে। কিন্তু এই ভয় কাটিয়ে সঠিক চিকিৎসা শুরু করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন মিথ ও বাস্তবতার পার্থক্য বোঝা।

ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বৈশালির নিউরো ও স্পাইন সার্জারির প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর ডা. মানীশ বৈশ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ব্রেইন টিউমার নিয়ে চারপাশে ভয়ের পাশাপাশি নানা ভুল তথ্য ঘোরাফেরা করে। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে, সঠিক চিকিৎসা ও সহায়ক পরিবেশ থাকলে রোগীর জীবনমান অনেক উন্নত হতে পারে।”

মস্তিষ্কের টিউমার নিয়ে ৫টি প্রচলিত ভুল ধারণা ও বাস্তব তথ্য:
মিথ ১: সব ব্রেইন টিউমারই ক্যান্সার হয়
বাস্তবতা: সব টিউমার ক্যান্সার নয়। অনেক ব্রেইন টিউমার benign অর্থাৎ অ-ক্যান্সারজনিত, যারা শরীরের অন্য কোথাও ছড়ায় না। তবে অ-ক্যান্সারযুক্ত টিউমারও মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করে জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই টিউমারের প্রকৃতি যাই হোক, সময়মতো সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা অপরিহার্য।

মিথ ২: ব্রেইন টিউমার মানেই তীব্র মাথাব্যথা
বাস্তবতা: মাথাব্যথা হতে পারে একটি উপসর্গ, তবে সব রোগীর তা হয় না। অনেকেই খেয়াল করেন না—খিঁচুনি, আচরণগত পরিবর্তন, স্মৃতিভ্রংশ, দৃষ্টিসমস্যা বা কথা বলার অসুবিধাও টিউমারের লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের অস্বাভাবিক উপসর্গ অবহেলা করা উচিত নয়।

মিথ ৩: মোবাইল ফোন ও মাইক্রোওভেন ব্রেইন টিউমার ঘটায়
বাস্তবতা: এখনো পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণায় মোবাইল ফোন বা মাইক্রোওভেন ব্যবহারের সঙ্গে সরাসরি ব্রেইন টিউমারের যোগসূত্র প্রমাণ হয়নি। আন্তর্জাতিক বহু গবেষণা এমন ধারণা নাকচ করেছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে।

মিথ ৪: ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা মানেই বড় অস্ত্রোপচার
বাস্তবতা: আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এসেছে বিপ্লব। এখন অনেক সময় মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জারি, স্টেরিওট্যাকটিক রেডিওসার্জারি (যেমন: গামা নাইফ) অথবা টার্গেটেড থেরাপি-র মাধ্যমে চিকিৎসা হয়। চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের ধরন, আকার, অবস্থান ও রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর।

মিথ ৫: ব্রেইন টিউমার মানেই মৃত্যু
বাস্তবতা: এটি সবচেয়ে ভয়ংকর ও ভুল ধারণা। আজকের উন্নত নিউরোসার্জারি, নিউরোন্যাভিগেশন, রেডিওথেরাপি ও পার্সোনালাইজড মেডিসিনের যুগে বহু রোগী টিউমার নিয়ে দীর্ঘ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। মূল চাবিকাঠি হলো, সময়মতো সনাক্তকরণ ও বিশেষায়িত চিকিৎসা।

সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস 

নোভা

×