
ছবি: সংগৃহীত
আত্মবিশ্বাস মানেই সবচেয়ে জোরে কথা বলা বা সবকিছু জানিয়ে ফেলা নয়। আত্মবিশ্বাস মানে হলো নিজেকে বিশ্বাস করা—বিশেষত তখন, যখন পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়ে। ভয় বা সংশয় থাকা সত্ত্বেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহসই হচ্ছে প্রকৃত আত্মবিশ্বাস। এটি গড়ে ওঠে ধাপে ধাপে—আত্ম-সচেতনতা, অস্বস্তির মুখোমুখি হওয়া, এবং নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে। নিচে রয়েছে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার ৫টি কার্যকর উপায়:
১. অস্বস্তিকে গ্রহণ করুন
বিভ্রান্তিকর বা অস্বস্তিকর মুহূর্তগুলোকে শত্রু ভাবার কিছু নেই। বরং এসব মুহূর্তই আপনাকে নিজের সীমানা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে শেখায়। বক্তৃতা দেওয়া হোক বা অচেনা কারো সঙ্গে অদ্ভুত এক পরিচয়—এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে পালানোর বদলে সেগুলোর মুখোমুখি হন। প্রতিবার আপনি অস্বস্তির মধ্য দিয়ে যান, আপনি আরও দৃঢ় হন, আপনার আত্মবিশ্বাসও বাড়ে।
২. নিজের সঙ্গে কথা বলুন
আপনার নিজের সঙ্গে যেভাবে কথা বলেন, সেটাই আপনার বাহ্যিক আত্মবিশ্বাসকে প্রভাবিত করে। তাই নিজেকে দয়া করুন, দিনের শেষে নিজের ভিতরের সঙ্গে সংযোগ করুন। মনে মনে হোক বা জোরে—নিয়মিত নিজের সঙ্গে কথা বলুন। এটা আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে, সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলবে।
৩. ‘২ মিনিট নিয়ম’ অনুসরণ করুন
কোনো কাজ যদি খুব কঠিন মনে হয়, তখন আমাদের মস্তিষ্ক তা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি করে। এ ক্ষেত্রে কৌশল হলো—এড়িয়ে না গিয়ে কাজটি শুধু ২ মিনিটের জন্য শুরু করুন। কঠিন ফোন কল, ব্যায়াম শুরু করা, রিপোর্ট লেখা—যাই হোক, নিজেকে বলুন: "শুধু ২ মিনিট করবো।" বেশিরভাগ সময়েই সবচেয়ে কঠিন হলো শুরুটা করা—একবার শুরু করলে গতি চলে আসে। এই অভ্যাস ধীরে ধীরে মস্তিষ্ককে শেখায় যে কাজ মানেই ভয় নয়—আর এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
৪. কথা বলার সময় সংযোগ তৈরি করুন
চোখে চোখ রাখার বিষয়টি অনেক সময় অত্যন্ত চাপ তৈরি করে। সহজ একটা কৌশল হলো—কথা বলার সময় অপরপক্ষের শ্বাস-প্রশ্বাসের ছন্দে মনোযোগ দিন। এতে আপনি কথোপকথনের স্রোতে ঢুকে যাবেন, নিজেকে নিয়ে অতিরিক্ত ভাবা কমে যাবে। এতে আপনি স্বাভাবিকভাবে আরও আত্মবিশ্বাসী ও আন্তরিক বলে মনে হবেন—কোনো চাপ ছাড়াই।
ফরিদ