
ছবি: সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস! রাস্তাঘাটে গরম বাতাসের দমকা, মাথা ঘোরা অনুভূতি আর ঘাম ঝরানো ক্লান্তি যেন নিত্যসঙ্গী। এমন পরিস্থিতিতে শুধু সতর্ক থাকলেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা, ঘামাচি কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থেকে।
চিকিৎসকদের মতে, গরমে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাড়তি কষ্ট করতে হয়। তাই জীবনযাপন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন এনে এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা সম্ভব।
চলুন জেনে নিই চিকিৎসকদের মতে তীব্র গরমে সুস্থ থাকার ১০টি জরুরি পরামর্শ:
চিকিৎসকদের ১০টি পরামর্শ গরমে সুস্থ থাকার জন্য
১. বাইরে না বের হলেই ভালো, তবে বের হলে ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করুন।দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে সূর্য সবচেয়ে প্রখর থাকে। এই সময় বের হলে অবশ্যই ছাতা, সানগ্লাস, হ্যাট বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।
২. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।প্রতিদিন কমপক্ষে ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন। অতিরিক্ত ঘাম হলে ওআরএস বা লবণ-চিনি পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
৩. হালকা, ঢিলেঢালা এবং সুতি কাপড় পরুন।গরমে ঘাম কমাতে ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হালকা রঙের তুলো বা লিনেন কাপড়ের জামা খুবই কার্যকর।
৪. ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।এসব খাবার শরীরে অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি করে এবং হজমের সমস্যা বাড়ায়।
৫. ত্বক ও মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন দিনে ২ বার।হালকা গরম বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করাই উত্তম।
৬. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং সানবার্ন এড়িয়ে চলুন।SPF ৩০+ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে সূর্যরশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বক সুরক্ষিত থাকে।
৭. খাবারে ফলমূল ও পানি সমৃদ্ধ সবজি বেশি রাখুন। তরমুজ, শসা, আনারস, মাল্টা, লাউ, পেঁপে ইত্যাদি শরীর ঠান্ডা রাখে।
৮. ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। ঘরে থাকা অবস্থায় জানালা খোলা রাখুন, ফ্যান বা এক্সজস্ট ফ্যান চালান।
৯. শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষভাবে সতর্ক রাখুন। তাদের শরীরে তাপমাত্রা দ্রুত পরিবর্তিত হয়, তাই তারা হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে বেশি।
১০. হঠাৎ অসুস্থতা বা দুর্বলতা অনুভব করলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। গরমে অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা বা ডিহাইড্রেশনে জটিলতা দেখা দেয়।
তীব্র গরমে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। সঠিক জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে এই প্রচণ্ড গরমেও আপনি সুস্থ ও সক্রিয় থাকতে পারবেন।
Mily