
ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবছরের মতো এবারও হজ পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মুসল্লি; নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ পালনের সময় মারা গেলে তার মরদেহ সৌদি আরবেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে মরদেহ আনার অনুমতি দেওয়া হয় না এবং পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গৃহীত হয় না।
২০২৫ সালের হজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১০ জুন থেকে, এবং ফিরতি ফ্লাইট চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত। এবারের হজে অংশ নিয়েছেন মোট ৮৭ হাজার ১০১ জন বাংলাদেশি মুসল্লি। সার্বিক ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক হলেও বার্ধক্য ও নানা শারীরিক জটিলতার কারণে এ পর্যন্ত অন্তত ২০ জন বাংলাদেশি মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া আরাফাত দিবসের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৫ জন।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত তথ্য দেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, “টোটাল হজ ব্যবস্থাপনায় আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি সবসময় হজ পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখেন, মনিটর করেন। এমনকি আমরা ৮৭ হাজার ১০১ জন হাজী নিয়ে সৌদি আরবে আসার পর থেকেই তিনি আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করেছেন।”
হজে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি হাজীদের মধ্যে আবেগ, ত্যাগ ও আস্থা ছিল সুস্পষ্ট। সাময়িক কিছু দুর্ভোগ থাকলেও সার্বিকভাবে হজ ব্যবস্থাপনা ছিল প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেক হাজী।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=_x-Vqm6AL1k
আবির