
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলাধীন চরবিশ্বাস ও বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার রাতে সংঘটিত সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। উভয় পক্ষের যুগপৎ কর্মসূচির ঘোষণার প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমূহ সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় গলাচিপা পৌরসভা ও এর আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার ১৪৪ ধারার আদেশে উল্লেখ করেন, জনগণের জানমাল এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে গলাচিপা পৌরসভা ও এর আশপাশের এলাকায় ১৩ জুন সকাল ০৮টা থেকে ১৫ জুন সকাল ০৮টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হল। এই সময়ের মধ্যে উল্লিখিত এলাকায় সকল প্রকার সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজামায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সকল প্রকার দেশীয় অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ০৫ বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। উল্লিখিত আদেশ লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে জরুরি সাংবাদিক সম্মেলন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আহ্বান জানান নুরুল হক নূর। তবে এ ব্যাপারে নুরুল হক নূরের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য মো. রবিউল হাসান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করার কারণে বিক্ষোভ সমাবেশ বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
আফরোজা