
এআই জেনারেটেড প্রতীকী ছবি
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত দিন দিন উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীরা কিশোর গ্যাং এর দস্যুতা ও ভয়ভীতির শিকার হচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
গত সোমবার কিশোর গ্যাংয়ের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন কিশোর আহত হয়েছে। ওইদিন রাত ৮টার দিকে শেরপুর শহরের শহীদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের অধিকাংশই অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র। তারা নিজেরা 'গ্রুপ' বা 'টিম' বানিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চলে। তাদের সঙ্গে প্রভাবশালী কিছু পরিবারের ছেলেরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রোববার উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা ব্রিজের উপর মোটরসাইকেল রেখে আড্ডা দিতে দেখা যায় কয়েকজন বখাটে ছেলেকে। অতঃপর একজন পথচারী রাস্তা ছেড়ে দাঁড়ানোর কথা বলতেই ওই পথচারীর উপর আক্রমণ করে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। পরবর্তীতে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করে।
শেরপুর থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, “কিশোর গাং এর বিভিন্ন স্থানের খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করি। ঘটনায় একটা অংশের অভিযোগ পেয়েছি। আহতদের হাসপাতালে তদন্তের উদ্দেশ্যে দেখে এসেছি।”
শেরপুর ধুনট মোড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে ভয় পায়। গ্যাং সদস্যরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, ইভটিজিং এমনকি মাদক সেবনের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে।”
সূত্রাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “শুধু আইন দিয়ে নয়, পরিবার ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও নজরদারি জরুরি। এসব কিশোরদের কাউন্সেলিং, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং সংস্কারমূলক কার্যক্রমে যুক্ত করতে হবে।
সাব্বির