
ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ আর শুধু লস অ্যাঞ্জেলেসেই সীমাবদ্ধ নেই। চলমান আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনে বুধবার (১১ জুন) ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও শিকাগোসহ এদিন দেশের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়, যেখানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এই প্রতিবাদগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কিছু এলাকায়ও ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী শনিবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে 'নো কিং' (No King) নামে একটি বড় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে, যা এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় গণজমায়েত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আন্দোলনের শুরু থেকেই ক্যালিফোর্নিয়ার জনপ্রতিনিধিরা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ৩০ শহরের মেয়রদের নিয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস অভিবাসীবিরোধী অভিযান বন্ধ এবং মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি বলেন, সেনা মোতায়েনের কারণে সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, চলমান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও লুটপাটের ঘটনায় লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি রয়েছে। মেয়র অফিস জানিয়েছে, আগামী বেশ কয়েকদিন এই কারফিউ বলবৎ থাকবে। কারফিউয়ের প্রথমদিনে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা না ঘটলেও গণগ্রেফতার অব্যাহত আছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
মার্কিন এক সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা প্রায় ৫০০ ন্যাশনাল গার্ড সেনাকে অভিবাসন কার্যক্রমে এজেন্টদের সহায়তার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মেরিন সেনারাও এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
সাব্বির