ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পেশাগত সাফল্যের জন্য প্রয়োজন এই ৮টি সফট স্কিল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ৩১ মে ২০২৫

পেশাগত সাফল্যের জন্য প্রয়োজন এই ৮টি সফট স্কিল

ছবি: সংগৃহীত

আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল কর্মজীবনে শুধু বই পড়ে শেখা জ্ঞান বা কারিগরি দক্ষতা দিয়ে সফল হওয়া যায় না। সফট স্কিল—যেমন যোগাযোগ, মানসিক বুদ্ধিমত্তা, দলগত কাজের দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা—মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে, চাপ সামলাতে এবং সহমর্মিতার সাথে নেতৃত্ব দিতে অসাধারণভাবে সহায়ক।

কর্মস্থলে ভালো পারফর্ম করতে গেলে যে শুধু আপনার কাজ জানা দরকার তা নয়, আপনাকে মানুষের সঙ্গে কাজ করাও জানতে হবে। এই ৮টি সফট স্কিল আপনার পেশাগত সাফল্যের জন্য ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে।

১. যোগাযোগ দক্ষতা 
কথা বলা মানেই শুধু বললেই চলবে না—শোনা, বোঝা এবং স্পষ্টভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোও জরুরি। ভালো যোগাযোগকারী হতে পারলে আপনি আস্থা তৈরি করতে পারেন, ভুল বোঝাবুঝি কমাতে পারেন এবং চাপে পড়লেও পরিস্থিতি সহজে সামলাতে পারেন।

২. মানসিক বুদ্ধিমত্তা 
নিজের ও অন্যের আবেগ চিনতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারার ক্ষমতা হলো মানসিক বুদ্ধিমত্তা। এটি নেতৃত্বর পাশাপাশি সম্পর্ক উন্নত করতে, চাপ সামলাতে এবং সহানুভূতিশীল আচরণ করতে সাহায্য করে।

৩. পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা 
পৃথিবী প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। যারা পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে পারেন, তারাই এগিয়ে থাকেন। খাপ খাওয়ানো মানে শেখার ইচ্ছা থাকা, নমনীয় মনোভাব, এবং যেকোনো চ্যালেঞ্জকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা।

৪. দলগত কাজের দক্ষতা 
একাই সব কাজ করা যায় না। প্রকল্প হোক বা পরিবার—দলের অংশ হিসেবে কাজ করতে গেলে দরকার সহানুভূতি, অংশগ্রহণ, এবং মাঝে মাঝে নিজের ইগো ছেড়ে দিয়ে অন্যদের পাশে দাঁড়ানো।

৫. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা 
সমস্যা জীবনের অংশ। কিন্তু কেমনভাবে আপনি সেটি সামলান, সেটাই আপনাকে আলাদা করে। বিশ্লেষণ, সমাধানের পথ খোঁজা এবং প্রয়োগ—এই ক্ষমতা কর্মক্ষেত্র তো বটেই, ব্যক্তিগত জীবনেও দরকারি।

৬. সময় ব্যবস্থাপনা 
সময় একবার চলে গেলে আর ফিরে আসে না। কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ, লক্ষ্য ঠিক করে এগোনো এবং ফাঁকি না দিয়ে কাজ করা—এই স্কিলটি আপনাকে শুধু পেশাগত নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও সাফল্য এনে দিতে পারে।

৭. সংঘাতে শান্তভাবে মতভেদ মেনে নেওয়া 
সবসময় সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু মতভেদ হলে সেটি কিভাবে সামলানো হয়, সেটাই পরিপক্বতার পরিচয়। শান্তভাবে শুনতে শেখা, সহানুভূতি থাকা, এবং মিল খুঁজে নেওয়া—এই গুণগুলি সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

৮. নিজেকে প্রেরণা দেওয়ার ক্ষমতা 
যারা বাহ্যিক চাপ ছাড়াও নিজের কাজ নিজের মতো করে চালিয়ে যেতে পারেন, তারা অনেক দূর যেতে পারেন। আত্ম-প্রেরণা মানেই লক্ষ্য ঠিক করে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করা—চাই সেটা পড়াশোনা হোক কিংবা ব্যবসা।

মুমু

×