
ছবিঃ সংগৃহীত
অনেক সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি (NID) কার্ডের স্বাক্ষর পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। এটি সাধারণত হয় যদি কেউ নতুন স্বাক্ষর ব্যবহার শুরু করেন, পাসপোর্ট বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে ভিন্ন স্বাক্ষর থাকলে কিংবা আইনি বা ব্যক্তিগত কারণে স্বাক্ষর পরিবর্তনের দরকার হয়। তবে স্বাক্ষর পরিবর্তনের প্রক্রিয়া অনলাইনে নয়, সরাসরি নির্বাচন অফিসে গিয়ে করতে হয়।
প্রক্রিয়া:
স্বাক্ষর পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সংশোধনী ফর্ম-২ (Form-2) পূরণ করতে হবে। এই ফর্মটি নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে পূরণ করা যায় অথবা সরাসরি নির্বাচন অফিসে গিয়েও সংগ্রহ করা যায়।
ফর্ম পূরণের জন্য যা করতে হবে:
-
নিজের পূর্ণ নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (১০, ১৩ বা ১৭ ডিজিট) স্পষ্টভাবে লিখতে হবে।
-
‘অন্যান্য’ শাখায় গিয়ে “স্বাক্ষর পরিবর্তন” লিখতে হবে।
-
নতুন স্বাক্ষর দিতে হবে নির্ধারিত ঘরে।
-
বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর যুক্ত করতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
ফর্মের সঙ্গে নিচের যেকোনো একটি স্বাক্ষর প্রমাণকারী দলিল সংযুক্ত করতে হবে:
-
পাসপোর্ট (যেখানে নতুন স্বাক্ষর আছে)
-
ড্রাইভিং লাইসেন্স
-
অথবা স্বাক্ষর সত্যায়নপত্র (যদি উপরের দুটি না থাকে)
এছাড়াও, অবশ্যই বর্তমান এনআইডি কার্ডের একটি ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
ফি প্রদান:
সংশোধনী আবেদনের জন্য একটি নির্ধারিত ফি দিতে হয়। এটি বিকাশ, রকেট বা সরাসরি নির্বাচন অফিসে হেল্প ডেস্কে প্রদান করা যায়।
অফিসে যেতে হবে সশরীরে:
স্বাক্ষর প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে সশরীরে গিয়ে স্বাক্ষর প্যাডে স্বাক্ষর করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করা গেলেও স্বাক্ষর অনলাইনে দেওয়া সম্ভব নয়, এজন্য সরাসরি উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
সময়সীমা ও ফলাফল:
আবেদন করার পর সাধারণত ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে সংশোধন সম্পন্ন হয়েছে। এরপর অনলাইন সিস্টেমে গিয়ে আপডেট হওয়া এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়।
ইমরান