
আপনি যদি রাত জেগে কাজ করতে পছন্দ করেন, তাহলে চিন্তার কিছু নেই বলছেন নিউরোলজিস্ট ডা. সিদ্ধার্থ ওয়ারিয়র। তবে শর্ত একটাই, ঘুম হতে হবে পরিপূর্ণ ৭-৮ ঘণ্টার। তাঁর মতে, কেউ যদি রাতে বেশি সক্রিয় থাকে কিন্তু নিয়মিত এবং ভালোভাবে ঘুমিয়ে নিতে পারে, তাহলে সেটা সমস্যা নয়। তবে এই দাবির বাস্তবতা জানতে আরও বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হয়েছে।
ঘুম ঠিক থাকলে ‘নাইট আউল’ হওয়াও ক্ষতিকর নয়!
হায়দরাবাদের গ্লেনইগলস হাসপাতালের স্লিপ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. তপস্বী কৃষ্ণ বলেন, “কারও যদি এমন রুটিন থাকে, যেখানে সে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে পারে, তাহলে তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব অনেকটাই কমে আসে।” তিনি যোগ করেন, “ঘুমের সময় ভালো পরিবেশ, অন্ধকার ঘর, কম শব্দ এবং স্ক্রিন টাইম কমানো এসবই ঘুমের মান উন্নত করে।”
তবে তিনি এটাও বলেন, দিনের আলো ও রাতের অন্ধকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘুমের সময় নির্ধারণ করাই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।
ঘুমের সময় নয়, ঘুমের "সময়মতো" হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ
অন্যদিকে, মুম্বাইয়ের গ্লেনইগলস হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মঞ্জুষা আগারওয়াল একেবারেই ভিন্ন মত পোষণ করেন। তাঁর মতে, “শুধু ঘুমের পরিমাণ নয়, কখন ঘুমাচ্ছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। অনিয়মিত ঘুম আমাদের দেহঘড়ি বা সার্কাডিয়ান রিদমের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।”
তিনি বলেন, “রাতের ঘুম হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, বিশেষ করে মেলাটোনিন উৎপাদনে। যেটা গভীর ঘুমের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু রাতজাগা মানুষদের শরীরের এই স্বাভাবিক ছন্দ বিঘ্নিত হয়, ফলে মানসিক চাপ, স্থূলতা, হৃদরোগের ঝুঁকি ইত্যাদি বাড়তে পারে।”
সমাধান কী? নিয়মিত ঘুমের অভ্যাস গড়ুন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন একি সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়তে হবে। রাতে ঘুম না হলে ক্যাফেইন এড়িয়ে চলা, মোবাইল ও স্ক্রিন দূরে রাখা এসব করতে হবে।
মিমিয়া