
ছবিঃ সংগৃহীত
আমাদের জেনেটিক গঠনের পেছনে বাবা-মায়ের অবদান যে সমান, তা সকলেরই জানা। তবে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেসন্তানের ব্যক্তিত্ব ও আচরণে মায়ের প্রভাব বিশেষভাবে দৃশ্যমান। জিনগত উত্তরাধিকার ছাড়াও পরিবেশ ও আবেগ-অনুভূতির দিক থেকেও মা একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, ছেলেসন্তান সাধারণত মায়ের কাছ থেকে যেসব গুণ পায়—
১। মুখের আকৃতি
মায়ের মুখের গঠন, চোখ-মুখের ভঙ্গিমা বা ঠোঁটের ধরন অনেক সময় ছেলের মধ্যে পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত হয়। মায়ের সঙ্গে মিল থাকা মুখের গঠন অনেক ক্ষেত্রে বংশগত।
২। মেজাজ
ছেলেরা প্রায়ই মায়ের আবেগগত আচরণ ও রাগের ধরন অনুসরণ করে। মায়ের যেমন সহজে রেগে যাওয়া বা শান্ত মেজাজ থাকলে, সন্তানের মধ্যেও সেই ধারা দেখা যায়।
৩। ধৈর্য্য
পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অপেক্ষা করার ক্ষমতা বা ধৈর্য্যও অনেকাংশে মায়ের কাছ থেকেই শেখে ছেলে। মায়ের ধৈর্যশীল আচরণ সন্তানের মধ্যে স্থিরতা আনতে সাহায্য করে।
৪। ঘুমের ধরণ
ঘুমানোর ধরণ, যেমন বেশি ঘুমানো বা কম ঘুমানো, গভীর ঘুম কিংবা হালকা ঘুম—এসবও মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যায় বলে মত গবেষকদের।
৫। পরিস্থিতি সামলানোর বুদ্ধিমত্তা
চাপের সময় কীভাবে ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেটা মা যেমন সামলায়, ছেলেও তা শিখে নেয়। বিশেষ করে আবেগনির্ভর সিদ্ধান্তে মায়ের ভূমিকা দৃশ্যমান।
৬। সততা ও দয়াময়তা
সততা, সহানুভূতি, অন্যের প্রতি সহমর্মিতা—এই মানবিক গুণগুলো মায়ের আচরণে বারবার প্রতিফলিত হলে সন্তানের মধ্যেও তা গড়ে ওঠে সহজে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুর বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় মায়ের উপস্থিতি ও আচরণ সন্তানের মন ও চরিত্র গঠনে বিশেষভাবে প্রভাব ফেলে। তাই মা কেবল জন্মদাত্রী নন, তিনি সন্তানের গুণাবলি গঠনের অন্যতম কারিগরও।
ইমরান