ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

প্রতারণার মতো সহজ ১০টি মস্তিষ্ক-চালনা কৌশল

প্রকাশিত: ১১:৫২, ১৪ মে ২০২৫

প্রতারণার মতো সহজ ১০টি মস্তিষ্ক-চালনা কৌশল

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কখনো কখনো চাপ, উদ্বেগ বা হতাশা দমন করা কঠিন হয়ে ওঠে। অথচ আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে এমন কিছু স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা রয়েছে, যা সঠিকভাবে সক্রিয় করতে পারলে মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব। নিচে রইলো এমনই ১০টি সহজ মস্তিষ্ক-চালনা কৌশল, যা দেখে মনে হতে পারে যেন প্রতারণা, কিন্তু এগুলো কার্যকর ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত।

১. উল্টো চাহনি কৌশল:
ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করুন এবং একটু ওপরের দিকে তাকান। এতে মস্তিষ্ক মনে করে আপনি নিরাপদে আছেন, ফলে স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয় এবং উদ্বেগ কমে।

২. অদৃশ্য বস্তুর ধরা-ধরি:
চাপ অনুভব করলে মনে করুন আপনি কিছু ধরে আছেন। এই শারীরিক সংকেত মস্তিষ্ককে “নিয়ন্ত্রণে আছি” বার্তা দেয়, যা স্নায়ুকে শান্ত করে।

৩. বিপরীত কাঁধে হাত রাখার কৌশল:
আপনার এক হাত দিয়ে বিপরীত কাঁধে হালকা করে হাত বুলিয়ে দিন। এই ক্রস-বডি মুভমেন্ট মনোযোগ ফিরিয়ে আনে এবং দুশ্চিন্তা কমায়।

৪. স্ক্রিন উল্টো কৌশল:
ফোন স্ক্রল করতে ইচ্ছা হলে ফোনটি উল্টো করে রাখুন। এই ছোট বাধা আপনার মস্তিষ্ককে অটোপাইলট মোড থেকে বের করে নিয়ে আসে।

৫. “ছোট ঘর” কৌশল:
একটি কোণায় দাঁড়িয়ে ১০ সেকেন্ড থাকুন। সংকীর্ণ স্থানে দাঁড়ালে মস্তিষ্ক নিরাপত্তা অনুভব করে এবং স্নায়ুতন্ত্র স্থির হয়।

৬. পাঁচ আঙুলে শ্বাস-প্রশ্বাস কৌশল:
একটি হাতের আঙুল ধরে ধরে প্রতিটিতে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। ধীর শ্বাস এবং তালমিল যুক্ত হাতের চলন মিলিয়ে মন শান্ত হয়।

৭. ঠাণ্ডা জলের ঝটকা:
ঠাণ্ডা কিছু ধরুন বা মুখে পানি দিন। এটি ভ্যাগাস নার্ভ সক্রিয় করে এবং দ্রুত হৃৎস্পন্দন কমিয়ে শান্তি আনে।

৮. “দেখে শেষ” কৌশল:
আপনার দুশ্চিন্তার কথা লিখে ফেলুন, তারপর সেটা ছিঁড়ে ফেলুন বা পুড়িয়ে ফেলুন। এই প্রতীকী কাজ মস্তিষ্কে সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে।

৯. সুগন্ধ-স্মৃতি কৌশল:
ল্যাভেন্ডার বা পুদিনার মতো সুগন্ধি নিন। এটি মস্তিষ্কে ইতিবাচক স্মৃতি জাগিয়ে তোলে এবং মন ভালো করে।

১০. “নাম বললেই দমন” নিয়ম:
আপনার অনুভূতি মুখে বলুন, যেমন—“আমি চিন্তিত” বা “আমি বিরক্ত”। গবেষণায় দেখা গেছে, আবেগকে নাম দিলে তা কম শক্তিশালী ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য হয়।

এই ছোট ছোট কৌশলগুলো আপনার প্রতিদিনের মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে। এগুলোর জন্য কোনো ওষুধ বা বিশেষ পরিস্থিতির প্রয়োজন নেই-শুধু সচেতনতা এবং অভ্যাস গড়ে তোলাটাই যথেষ্ট।

মিরাজ খান

×