ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় শিক্ষক নেতার হাতে সহকর্মী মারধরের শিকার, মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১৪ মে ২০২৫; আপডেট: ১৫:১৪, ১৪ মে ২০২৫

ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় শিক্ষক নেতার হাতে সহকর্মী মারধরের শিকার, মামলা দায়ের

যশোরের মনিরামপুরে এক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষকের অপর এক সহকর্মী। বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না আকস্মিক ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে তাঁর কাছে এই অভিযোগ করেন ওই সহকর্মী। এরপর ইউএনও বিদ্যালয় ত্যাগ করার পর ওই শিক্ষককে মারপিট করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক নেতা। 

সহকর্মীকে মারপিট করা ওই শিক্ষকের নাম মজনুর রহমান। তিনি উপজেলার দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মনিরামপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকও। আর মারপিটের শিকার শিক্ষক রবিউল ইসলামও একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক রবিউল ইসলাম বুধবার মনিরামপুর থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। 

মারপিটের শিকার শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, গেল বছর ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে নিয়ম মেনে স্কুলে আসেন না মজনুর রহমান। তিনি বিদ্যালয়ে আসলেও ক্লাস না নিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে দুই এক ঘন্টা অফিসে বসে চলে যান।

রবিউল ইসলাম বলেন, বুধবার ইউএনও আমাদের স্কুলে এসে সবকিছু এলোমেলো পান। তখন স্কুলে ছিলেন না মজনুর রহমান। আমি ইউএনওকে মজনুর বিষয়ে সবকিছু জানাই। ইউএনও বিদ্যালয়ে থাকতেই খবর পেয়ে মজনুর রহমান স্কুলে আসেন। পরে ইউএনও চলে যাওয়ার পর মজনু বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। আমি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ইউএনওর কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপর থানায় মজনুর বিরুদ্ধে এজাহার জমা দিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে মজনুর রহমান বলেন, বুধবার আমার তিনটা ক্লাস ছিল। সবগুলো ক্লাস নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাইরে গিয়েছিলাম। ইউএনও বিদ্যালয়ে আসার খবর শুনে ফিরে এসেছি। সহকর্মীকে মারপিটের অভিযোগের বিষয়ে মজনুর রহমান বলেন, মাথা ঠিক ছিল না। একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়ে গেছে। দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

আবুল বাশার বলেন, মজনুর রহমান স্কুলে আসেন। ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি এর বেশি কথা বলতে চাননি।

ইউএনও নিশাত তামান্না বলেন, আমি দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক মজনুর রহমানকে প্রথমে পাওয়া যায়নি। তিনি পরে এসেছেন। 

ইউএনও বলেন, আমি চলে আসার পর শিক্ষক মজনুর রহমান বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষক রবিউল ইসলামকে মারপিটের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, মজনুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

রাজু

×