
ছবিঃ সংগৃহীত
ষড়ঋতুর বাংলাদেশের প্রথম ঋতু গ্রীষ্ম। কাঠফাটা রোদ আর গরমের জন্য গ্রীষ্মের খ্যাতি থাকলেও দৃষ্টিনন্দন ফুলে ফুলে প্রকৃতি সাজাতেও জুড়ি নেই। প্রকৃতিতে এখন গ্রীষ্মকাল। বাংলা মাসের গ্রীষ্মকালীন প্রহরে প্রকৃতি যেন তার রঙের প্যালেট খুলে বসেছে। চারদিকে চোখ ফেরালেই দেখা মিলছে জারুল, কৃষ্ণচূড়া আর সোনালু ফুলের অপূর্ব শোভা। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের প্রাঙ্গণ, এমনকি গ্রামীণ সড়কের দুই পাশেও ফুটে উঠেছে এই ফুলগুলোর বাহারি রঙ।
গভীর বেগুনি জারুল ফুলে যেন আকাশ ছুঁতে চায় প্রতিটি ডালে। এর পাশেই রক্তিম কৃষ্ণচূড়া ছড়িয়ে দিয়েছে আগুন রঙের চাদর। আর হলুদ সোনালু ফুল ঝুলে আছে গাছের ডাল থেকে ছায়ার মতো। একত্রে এই তিন ফুল প্রকৃতিকে উপহার দিয়েছে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট।
জারুল, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু সহ নানা ফুলের রঙে সেজেছে বরিশালের বাকেরগঞ্জের শহর থেকে গ্রাম। নানান জাতের ফুলের রঙে সৌন্দর্যে এক মোহনীয় রূপ ধারন করেছে। এখানে সেখানে ফুটে আছে মন মাতানো এসব ফুল। এ সব ফুলে রয়েছে নানা রং, বর্ণ ও সুগন্ধ। জনপদটি কৃষ্ণচূড়া, জারুল আর সোনালুসহ নানান জাতের ফুলে ছেয়ে গেছে। প্রকৃতি সেজেছে রং এর খেলায়। গ্রীষ্মের খরা তাপেও ফুলের রুপ রস মনে বয়ে দেয় প্রশান্তির বাতাস।
গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদে প্রকৃতির রঙহীনতায় যখন চোখ ধাঁধিয়ে যায়, তখনই যেন প্রাণের ছোঁয়ায় ভরে ওঠে চারপাশ সোনালি রঙে সেজে ওঠে রাস্তাঘাট, স্কুল প্রাঙ্গণ কিংবা গাছপালা ঘেরা মাঠ। সে রং ছড়িয়ে দেয় নানান জাতের নয়নাভিরাম ফুল।
সবুজ গাছে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু ফুল, এসব ফুলের সৌন্দর্য পথচারীদের চোখে পড়ে হরহামেশাই। বসন্ত ঋতু এলে যেমন নানা রংঙের নানা বর্ণের ফুলের দেখা মেলে। তেমনি গ্রীষ্ম ঋতুতে দেখা মেলে কৃষ্ণচূড়া, জারুল আর সোনালু সহ নানান জাতের ফুলের। এই ফুলগুলো যখন মৃদু বাতাসে দুলতে থাকে, তখন প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন এক নতুন মাত্রা পায়। সবুজ কচি পাতার ফাঁকে ঝলমলে নানান রঙের ফুল প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে অনন্যভাবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে জারুলসহ নানা রঙের ফুল ফোটে ফুলের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও চৌমাতা থেকে সাহেবগঞ্জে যাওয়ার প্রধান সড়কটির দুই পাশে সোনালু ফুলে ছেয়ে গেছে।
উপজেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তুলাতলা সেতুর সংযোগ সড়ক ঘিরে বেশ কয়েকটি কৃষ্ণচূড়া গাছ ফুলে আগুন রং ছড়িয়ে দিচ্ছে। তুলাতলা নদীর তীরে একাধিক জারুল গাছ ফুলের রঙিন হয়েছে। এখন অনেকেই মোবাইল ক্যামেরায় ধরে রাখছেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ছে ফুলে ভরা গাছের ছবি। ফুলপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এ যেন এক অনুপম উপহার।
এই ফুলগুলো শুধু সৌন্দর্যই নয়, গ্রীষ্মের খরতাপের মাঝেও এনে দেয় এক ধরণের প্রশান্তি ও সজীবতা। প্রকৃতি যেন নিজের ভাষায় বলে উঠেছে রঙে রঙে বাঁচো, ভালোবাসো।
পরিবেশবিদদের মতে, এই ফুলগাছগুলো শুধু সৌন্দর্য নয়, পরিবেশ রক্ষার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এদের সংরক্ষণ ও পরিচর্যায় সচেতন হতে হবে আমাদের সকলকেই।
ইমরান