
ছবিঃ সংগৃহীত
বাগেরহাটে সড়ক ও জনপথের আওতাধীন পিরোজপুর টু নওয়াপাড়া বিশ্বরোড এর মোড় পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কের দুইপাশের সহাস্রাধিক অবৈধ কাঁচা, কাঁচাপাকা ও পাকা স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান শুরু হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ বুধবার (১৪ মে) সকাল দশটা থেকে বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। অভিযানের সময় সড়কের দু’পাশে থাকা সকল অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সওজ খুলনা জোন এর এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা, পিজুস চন্দ্র দে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন বলে বাগেরহাটের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম জানান।
সওজ, খুলনা জোন এর এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা, পিজুস চন্দ্র দে জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে গেছে। তাই সড়কে যাতে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই নির্ববিঘ্ন যানবাহন চলাচল করতে পারে, এই লক্ষ্যে সড়কের দুই পাশের সকল অবৈধ স্থপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, অবৈধ স্থাপনার কারণে প্রায়ই এই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কের দু’পাশ দখলমুক্ত করে সড়ক প্রশস্ত করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান একটি প্রক্রিয়া। আমরা উচ্ছেদ অভিযানের আগে সড়কের জায়গার সীমানা নির্ধারণ ও মাইকিং করে সতর্ক করেছি। এরপরেও যারা স্থাপনা সরিয়ে নেননি, এখন তাদের স্থাপনা অপসারণ করা হচ্ছে।
এই উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয় এলাকাবাসী ও যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা নেপাল সাহা ও দরগা এলাকার ব্যবসায়ী ফকির মঞ্জুর এলাহী বলেন, সড়কের ওপর অবৈধ দোকান-পাট ছাড়াও ইট-বালি-কাঠ-সুপারি ব্যবসা হরহামেশা চলছিল। ফলে দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটত। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে সেই ঝুঁকি কমলো।
বাস চালক শহীদুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম শেখ বলেন, সড়কের ওপর হাট-বাজার আর অবৈধ স্থাপনা গড়ে সড়কের ওপর ব্যবসা-বানিজ্যের ফলে যান চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছিল। ফলে দুর্ঘটনা ঘটত। এখন ভাল হল। তবে আর যেন এসব অবৈধ স্থাপনা বসতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।”
আলীম