
কুষ্টিয়া জেলার তামাক চাষিরা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)-এর কুষ্টিয়া কারখানা, গ্রিন লিফ থ্রেশিং প্ল্যান্ট (জিএলটিপি), দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় চরম বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। উৎপাদিত তামাক বিক্রয়ের অনিশ্চয়তায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বুধবার (১৪ মে) বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর জিয়া সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
উক্ত কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কয়েক শতাধিক তামাক চাষি অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তামাক চাষি পলাশ আহমেদ, জিন্নাহ আলী, রবিউল ইসলামসহ অনেকে।
এসময় বক্তারা বলেন, “আমরা তামাক বিক্রির জন্য কোম্পানির কাছে গেলে জানানো হয় যে, গোডাউনে জায়গা নেই এবং শ্রমিক আন্দোলনের কারণে কারখানায় তামাক প্রসেসিং বন্ধ রয়েছে। এমনকি ডিসি ও এসপির সঙ্গে বৈঠক করেও আমরা কোনো কার্যকর সমাধান পাইনি।”
অন্যান্য বক্তারা আরও জানান, প্রতি মৌসুমে চাষিরা বিএটিবি’র সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ তামাক সরবরাহের চুক্তি করে থাকেন। তবে চলমান অচলাবস্থার কারণে কোম্পানি উৎপাদিত তামাক গ্রহণ করছে না, ফলে ঘরে মজুত তামাক নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এবং এতে চাষিরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তারা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং জিএলটিপি কারখানা পুনরায় চালুর দাবি জানান। চাষিদের আশঙ্কা, বিএটিবি’র চলমান শ্রমিক অসন্তোষ দ্রুত সমাধান না হলে তামাকখাত তথা কৃষি খাতেই বড় ধরনের ক্ষতি হবে ।
উল্লেখ্য, মৌসুমি শ্রমিকদের দাবিকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া আন্দোলনের ফলে বিএটিবি’র কুষ্টিয়া জিএলটিপি কারখানাটি টানা ২১ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শ্রমিকদের অধিকাংশ দাবি পূরণ করা হলেও কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং অন্যান্য শ্রমিকদেরও জোরপূর্বক আন্দোলনে অংশ নিতে বাধ্য করছে।
নোভা