
ছবিঃ সংগৃহীত
সাবেক সেনাসদস্যদের শাস্তি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য দাখিল করা ৮০০-এর বেশি আবেদন গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ পর্যন্ত ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে ১০৬টি আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৬৯৬টি আবেদন যাচাই-বাছাই এবং মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কতিপয় সাবেক সেনাসদস্যের পক্ষ থেকে সেনা আইন অনুযায়ী দেওয়া শাস্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা পড়ে। এসব আবেদন মানবিক ও প্রশাসনিক বাস্তবতার আলোকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছে সেনাসদর, এবং সুষ্ঠু পর্যালোচনার জন্য ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের একটি পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। পর্ষদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আইএসপিআর বলেছে, "এটি সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া হলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে তা সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর।"
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সাবেক ও বর্তমান সেনাসদস্যদের অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। সরকার ও সেনাবাহিনী সাবেক সেনাসদস্যদের সম্মান, মর্যাদা এবং ন্যায্য দাবিসমূহের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সামরিক শৃঙ্খলা হলো একটি পেশাদার সেনাবাহিনীর মূল চালিকাশক্তি। এই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনা আইনে যথাযথ পুরস্কার ও শাস্তির বিধান রয়েছে।
পরিশেষে, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধৈর্য, শৃঙ্খলা এবং সহনশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড এড়িয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও প্রক্রিয়াগত শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়।
ইমরান