
ছবিঃ সংগৃহীত
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ ইমরানুজ্জামানের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় ইউনিয়ন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতির উপস্থিতি ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বুধবার (১৪ মে) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভিজিএফ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদ্য যোগদানকারী ইউএনও মো. ইমরানুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ডোমার-ডিমলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের ভাগিনা ও ৪নং খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়ন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি একইসঙ্গে বর্তমান নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানও।
সভার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মাঝে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। ছবিটি প্রথম ফেসবুকে প্রকাশ করেন টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম (সাহিন)। এরপর থেকেই স্থানীয় রাজনৈতিক মহলসহ সাধারণ নাগরিকদের প্রশ্ন—সরকারি সভায় কীভাবে একজন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ব্যক্তিকে অংশ নিতে দেওয়া হলো?
এ বিষয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অপরদিকে, এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইমরানুজ্জামান দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, “ডিমলায় আজই আমার দায়িত্ব গ্রহণের তৃতীয় দিন। আমি এখনও সবার পরিচয় পুরোপুরি জানি না। ভিজিএফ চাল বিতরণে স্বচ্ছতা আনতেই সকল চেয়ারম্যান, ট্যাগ অফিসার ও সচিবদের ডেকেছিলাম। এখন থেকে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।”
এদিকে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে এলাহী বলেন, “এই সভার বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। কখন বা কোথায় হয়েছে তাও জানা নেই। তবে এটা পরিষ্কার, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
ইমরান