
ছবি: সংগৃহীত
আমি মনে করি যারা আন্দোলন করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে, তারা আমার উপর হামলা করেনি। হামলা করেছে তারা, যারা এই আন্দোলনের নামে সেবোটাইজ করতে চেয়েছেন বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজ জানান, আন্দোলনের প্রধান প্রতিনিধিদের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী গতকাল রাতে, আজ রাতে এবং আগামীকাল সকালে বৈঠকের কথা থাকলেও, তারা কোনো বৈঠকেই অংশ নেননি। বরং পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই কিছু অংশ পুরান ঢাকা থেকে কাকরাইল পর্যন্ত হঠাৎ মিছিল করে চলে আসে, যা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।
তিনি বলেন, আজ থেকে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব। যথেষ্ট হয়েছে। এই ধরনের রাজনীতি আর হতে দেওয়া হবে না। যারা সেবোটাজ করতে এসেছে, শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা এবং শাস্তির আওতায় আনতে সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করা।
মাহফুজ আলম দাবি করেন, আমি আজ এখানে আসার পর একটি বিশেষ অংশ, যাদের আমি সেবোটার মনে করি, তারা পূর্ব থেকেই আন্দোলন সেবোটাইজ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঢুকে পড়েছে। আমি তাদের নাম বলছি না, তবে প্রশাসন ও গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো—তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করা।
তিনি জানান, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী গত আট মাস ধরে তার বিরুদ্ধে হিংসাত্মক মনোভাব পোষণ করে আসছে এবং আজকের ঘটনাও তারই বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। আমি শুধু সন্দেহ জানিয়ে রাখছি।
আন্দোলনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে তুলে তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করেন, প্রথমে তাদের সঙ্গে সংলাপের চেষ্টা করা উচিত। কোনও অবস্থায় সরাসরি বলপ্রয়োগ করা উচিত নয়। এটা আমাদের জাতীয় ট্রমার অংশ।
আজকের ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি তাদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের আন্দোলন যদি ন্যায্য হয়ে থাকে, সরকার শুনতে রাজি আছে, বসতে রাজি আছে, কথা বলতে রাজি আছে।
মাহফুজ আরও বলেন, আমি আজকে ৩০ মিটার দূর থেকে আন্দোলনকারীদের সামনে গিয়ে কথা বলতে চেয়েছি। কিন্তু তারা সে মর্যাদা রক্ষা করতে পারেনি। আমরা চাই সরকার যেন দেখাতে পারে, সে সবার কথা শোনে এবং যুক্তিযুক্ত দাবির সমাধান করতে চেষ্টা করে।
তিনি আহ্বান জানান, শাহবাগ কিংবা কাকরাইল নেমে পড়ার আগে ছাত্ররা যেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংলাপের পথ খোলা রাখে। সংলাপের মাধ্যমেই অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
অবশেষে তিনি জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকটের বিষয়টি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সংশ্লিষ্ট মহলকে জানানো হয়েছে এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপনের উদ্যোগকে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসা হবে।
এসএফ