ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫, ৩১ চৈত্র ১৪৩২

ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে অফিস ও হোটেল ভাঙচুর ও লুটপাট

জিয়াউল হক, বাকেরগঞ্জ বরিশাল

প্রকাশিত: ০০:০৬, ১৫ মে ২০২৫

ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে অফিস ও হোটেল ভাঙচুর ও লুটপাট

অফিস ও হোটেল ভাঙচুর  ছবি - জনকণ্ঠ

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে গত ১৩ মে (সোমবার) রাত ১১ টায় বাগদিয়া গ্রামের লেবুখালী খেয়াঘাট সংলগ্ন হাফেজ খানের ইট ভাটার অফিস ও একটি হোটেলে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভুক্তভোগী পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় হাফেজ খান ও রাকিব খান দীর্ঘদিন থেকে ইটভাটায় মাটি বিক্রয়ের ব্যবসা করে আসছিল। দুই অংশীদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক শত্রুতা চলছিল। গত (সোমবার) বিরোধের সূত্র ধরে রাকিব খানের পক্ষের লোকজন হাফিজ খানের পক্ষের মালিকানাধীন অফিসে ও একটি ভাতের হোটেলে হামলা চালায়। পরে তারা অফিস ও হোটেলে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

হামলাকারীরা অফিসের আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট করে ফেলে। হোটেল থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ১৪ মে (বুধবার) হাফিজ খানের মা ৯ জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

হাফিজ খানের স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, "রাকিব খান, শাহীন খান আমার স্বামীর ব্যবসায়ী অংশীদার। দীর্ঘদিন থেকে আমার স্বামীর সাথে তাদের ব্যবসায়িক বিরোধ চলে আসছে। কিছুদিন আগে রাকিব খানের এক ভাই আত্মহত্যা করলে ওই ঘটনায় আমার স্বামীসহ পরিবারের সবাইকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলার আসামি করে এলাকা ছাড়া করেছে রাকিব খান। এরপর গত সোমবার গভীর রাতে আমার স্বামীর অফিস ও হোটেল লুটপাট করে ভাঙচুর করেছে রাকিব খান ও তার লোকজন। এই ভাঙচুরও লুটপাট ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে স্থানীয় সেলিম মৃধা।"

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, এই ঘটনা আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

নোভা

×